ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরী

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২১ জানুয়ারি ২০২১

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরী

সংসদ রিপোর্টার ॥ করোকালে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে উল্লেখ করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে তারা বলেন, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ক্লাস হলেও তা যথেষ্ট নয়। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। আর দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সাম্প্রদায়িক বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। বুধবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে এই আলোচনায় অংশ নেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী, সরকারী দলের সদস্য মোঃ মোতাহের হোসেন, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, আনোয়ার আবেদীন খান, ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মোঃ আব্দুল আজিজ, এম এম শাহাজাদা ও খালেদা খানম এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেন, করোনাকালে বিমান ও পর্যটন খাত সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে করোনা মোকাবেলা করে এই খাতকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা অন্য দেশের তুলনায় ভাল আছি। করোনার সময় বিমান বন্ধ ছিল, বিশ্বেই ছিল। তারপরও আমরা বিমানকে সচল রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি ক্ষতিটা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়ার। এখনও অনেক দেশে বিমান বন্ধ আছে। কিন্তু আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বিমানবহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন উড়োজাহাজ। বিমানবন্দরগুলোকে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণের কাজ চলছে। ফলে এই খাতের দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হবে। করোনার প্রভাবে যেখানে সারাবিশ্বে মন্দার সৃষ্টি হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। করোনাকালে শিক্ষা খাত দুর্বল হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহের হোসেন বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে এই সরকার অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণে অনলাইনে ক্লাস চলছে। ভার্চুয়াল ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক। তিনি আরও বলেন, তিস্ত নদী তার এলাকার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে পানি নেই। হেঁটেই নদী পার হওয়া যায়। ভারত থেকে যে পানি আসে তা খুব সামান্য। এতে আবাদের কাজ হয় না। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হলো না। যত দ্রুত সম্ভব এই চুক্তি করা গেলে ওই অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হবে। করোনা টিকা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে সাবেক হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বলেন, এখনও টিকা আসেনি। ইতোমধ্যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করা হচ্ছে। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা দেশ চাইনি, স্বাধীনতা চায়নি- তারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে সমালোচনা ও ষড়যন্ত্র করবে এটাই স্বাভাবিক। জনগণকেই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। সরকারী দলের সামিল উদ্দিন শিমুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের বড় রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে সহযোগিতা করে দেশকে অস্থির করার অপচেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করে দেশের মানুষের কাছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও ভালবাসা পৌঁছে দিতে হবে।
×