ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্টিভ ব্যাননসহ ৭৩ জনকে ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমা

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২১ জানুয়ারি ২০২১

স্টিভ ব্যাননসহ ৭৩ জনকে ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দায়িত্ব ছাড়ার আগে ১৪৩ জনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এই ঘোষণা এলো। খবর সিএনএন ও বিবিসির। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সবমিলিয়ে ৭৩ জনকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৭০ জনের সাজা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প নিজের বা তার পরিবারের সদস্যদের জন্য কোন ক্ষমা ঘোষণা করেননি। ক্ষমা ঘোষণার বিষয়টি হোয়াইট হাউস থেকে যে কোন বিদায়ী প্রেসিডেন্টের জন্য একটি নিয়মিত ঘটনা। ক্ষমা ঘোষণা করা হলে যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে থাকা সব ধরনের ফৌজদারি সাজা বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট যে কারও কারাভোগের সময়সীমাও কমিয়ে দিতে পারেন। ফেডারেল মামলার ক্ষেত্রে ক্ষমা করার জন্য প্রেসিডেন্টের অসীম ক্ষমতা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনেকের জন্যই ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নির্বাচনী প্রচার বিষয়ক ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্ট, দীর্ঘদিনের সহযোগী রজার স্টোন এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের পিতা চার্লস। যাদের ক্ষমা করেছেন ॥ ট্রাম্প তার নিজের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের তহবিল জোগাড়ের জন্য এক প্রচার চালিয়ে লোকজনের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের এই সাবেক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু এবার সেই অপরাধ থেকে পার পেয়ে গেলেন তিনি। ব্যানন ছিলেন ট্রাম্পের ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় অন্যতম প্রধান কৌশলবিদ এবং উপদেষ্টা। ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন লিল ওয়েইন। তার আসল নাম ওয়েইন কার্টার। গত বছর অস্ত্র সংক্রান্ত ফেডারেল অভিযোগে তার সাজা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অপরাধী সংক্রান্ত সংস্কার কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। আরও একজন ভাগ্যবান হলেন কোডাক ব্ল্যাক। তার আসল নাম বিল কে কাপরি। তার বিরুদ্ধেও অস্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। তার তিন বছর ১০ মাসের সাজা হয়েছিল। ডেট্রয়েটের সাবেক মেয়র কিলপ্যাট্রিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনিও ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মেয়র থাকার সময়ে চাঁদা ও ঘুষ গ্রহণ, হুমকি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমার আওতায় থাকায় এ্যান্থনি লেভানডোস্কি ১৮ মাসের সাজা থেকে পূর্ণ ক্ষমা পেয়েছেন। তিনি ছিলেন গুগলের সাবেক প্রকৌশলী, যিনি প্রতিষ্ঠানের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি সংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্য চুরি করার কথা স্বীকার করেছিলেন। ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমার ঘোষণায় এ্যান্থনির সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তার কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি যথেষ্ট মূল্য দিয়েছেন এবং মানুষের ভালর জন্য তিনি নিজের মেধা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন।’ এসব কারণেই তাকে ক্ষমা করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। এদিকে এ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত রিক রেনজিকে ২০১৩ সালে চাঁদাবাজি, ঘুষ গ্রহণ, বীমা জালিয়াতি, অর্থ পাচারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই বছরের নজরদারি আর ২৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। তাকেও ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। এলিয়ট ব্রোডি ছিলেন রিপাবলিকান তহবিল সংগ্রহকারী। তিনি চীন এবং মালয়েশিয়ার স্বার্থে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লবিং করার জন্য তহবিল গ্রহণ করার অভিযোগ স্বীকার করেছিলেন। ট্রাম্পের ক্ষমার তালিকায় তার নামও রয়েছে।
×