ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেরণা মাস্ক প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো প্রেরণা ফাউন্ডেশন এবং দ্যা ওয়েষ্টিন

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ২০ জানুয়ারি ২০২১

প্রেরণা মাস্ক প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো প্রেরণা ফাউন্ডেশন এবং দ্যা ওয়েষ্টিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং সার্বিক উন্নয়ন-সাধনের জন্য একাগ্রে কাজ করছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন। সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে দেশের মূলধারার অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে প্রেরণা ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে “আমরা শিখি, আমরা পারি” শীর্ষক একটি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি প্রেরণা ফাউন্ডেশন এবং দ্যা ওয়েষ্টিন ঢাকা যৌথবভাবে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার আওতায় “আমরা শিখি, আমরা পারি” শীর্ষক কার্যক্রমের অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সমাজের বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিজ হাতে প্রস্তুতকৃত ফেইসমাস্ক “প্রেরণা মাস্ক” এখন থেকে সরাসরি ক্রয় করা যাবে দ্যা ওয়েষ্টিন ঢাকা থেকে। দ্যা ওয়েষ্টিন ঢাকা ও শেরাটন ঢাকা-এর ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার ড্যানিয়েল মুহর এবং প্রেরণা ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন নিজ নিজ সংস্থার পক্ষ থেকে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ওয়েষ্টিন ঢাকা এবং প্রেরণা ফাউন্ডেশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। “আমরা শিখি, আমরা পারি” প্রকল্পের মাধ্যমে প্রেরণা ফাউন্ডেশন টেকসই ব্যবসায়িক মডেল গঠনে মনোনিবেশ করেছে, যা সমাজের বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন জনগোষ্ঠী ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী কর্মসংস্থান নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে এই কার্যক্রমটির অংশ হিসেবে দুইটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প পরিচালনা করছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন: প্রেরণা মাস্ক ও শুদ্ধ হ্যান্ড রাব। প্রেরণা মাস্ক প্রকল্পটির সাথে যুক্ত হয়েছেন পিএফডিএ- ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীরা। করোনাকালে দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে জীবন ও জীবিকার সংকটে পরেছেন, এবং বহু বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিও এর অন্তর্ভুক্ত আছেন। “প্রেরণা মাস্ক” প্রকল্পের আওতায় পিছিয়ে পড়া এমন কিছু মানুষকে প্রেরণা ফাউন্ডেশন ও পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দান করেছে, যার ভিত্তিতে তারা উন্নত মানের মাস্ক তৈরী করে সর্বসাধারণের স্বাস্থ্যসুরক্ষা উপকরণ সরবরাহের মহৎ দায়িত্বে অংশ নিতে সক্ষম হয়েছেন। "করোনাকালে দেশের অভাবগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও তাদেরকে সহোযগিতা করা নিঃসন্দেহে প্রেরণা ফাউন্ডেশনের একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে বাস্তবে রূপান্তর করার সহযোগী হতে পেরে আমরা গর্বিত", বলেন ড্যানিয়েল মুহোর, দ্যা ওয়েষ্টিন ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার। “কোভিড-১৯ মহামারী সমস্ত বিশ্বের মানুষের জীবন ও জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের করোনাকালে সহায়তা করতে পেরে প্রেরণা ফাউন্ডেশন অত্যন্ত আনন্দিত। দ্যা ওয়েষ্টিন ঢাকা এবং আমাদের অনান্য সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রেরণা মাস্ক প্রকল্পে সহযোগিতা করার জন্য জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা”, বলেন আনোয়ারুল আমিন- প্রেরণা ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বাংলাদেশের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিজিডিএ) কর্তৃক অনুমোদিত এবং বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থা প্রণীত সুরক্ষা নির্দেশনা অনুসারে প্রেরণা মাক্স তৈরী হচ্ছে। প্রেরণা মাক্সগুলি ৪০০ টাকা খুচরা মূল্যে সরাসরি ক্রয় করা যাবে দ্যা ওয়েষ্টিন ঢাকা থেকে। মাস্কগুলো ব্যবহারের পর ধোয়া যাবে এবং নিরাপদে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে সর্বোচ্চ ২০ বার পর্যন্ত।
×