ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই অবন্তিকাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ

বান্ধবীকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট দেন পিকে হালদার

প্রকাশিত: ২৩:২২, ২০ জানুয়ারি ২০২১

বান্ধবীকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট দেন পিকে হালদার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক কোটি দুকোটি নয়- সাড়ে চার কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাট উপহার দেয়া হয়েছে অবন্তিকাকে। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) তার বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে ধানমণ্ডিতে এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৩ জানুয়ারি পিকে হালদার সংশ্লিষ্টতায় বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করে দুদক। বর্তমানে কারাগারে থাকা অবন্তিকাকে খুব শীঘ্রই রিমান্ডে এনে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুদক জানিয়েছে, ২০১৬ সালে চার কোটি ৩৫ লাখ টাকায় ধানমণ্ডির ১০ নং রোডে প্রায় তিন হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনে অবন্তিকাকে উপহান দেন পিকে হালদার। বিল্ডিং টেকনোলজি এ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই) থেকে ক্রয় করা ফ্ল্যাটটির মূল্য পরিশোধ হয় নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে। পুরো অর্থই আসে পিকে হালদারের বিভিন্ন হিসাব থেকে। পিকে হালদারের সুখাদা লিমিটেড ও হাল ইন্টারন্যাশনাল নামে দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে গ্রেফতার অবন্তিকা বড়ালের বিনিয়োগ আছে। এ বিষয়ে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, পিকে হালদারের ইস্যুটা অনেক বড়। বিভিন্ন জনের মাধ্যমে তার বিভিন্ন দিকে সূত্র আছে। ইতোমধ্যে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মোটামুটি ৬২ জনের সঙ্গে পিকে হালদারের যুক্ততা পাওয়া গেছে। এসব তথ্য আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা পিকে হালদারের প্রায় এক হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠজন শংখ ব্যাপারীকে জিজ্ঞাসাবাদে অবন্তিকা বড়াল বিষয়ে তথ্য বের হয়ে আসে। এর পরই তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। অবন্তিকা ও পিকে হালদার উভয়ের বাড়ি পিরোজপুর। এ জেলারই দীঘিরজান গ্রামে তাদের বাড়ি। এলাকার মেয়ে হিসেবে অবন্তিকার সঙ্গে পরিচয় তার। অবন্তিকার বাবা ছিলেন কলেজ শিক্ষক। তিনি মারা যাওয়ার পর অবন্তিকা ও তার পরিবার জেলা শহর ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন।
×