ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিমা কোম্পানির আধিপত্যের দিনেও ফ্লোর প্রাইস তিন কোম্পানি

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ১৯ জানুয়ারি ২০২১

বিমা কোম্পানির আধিপত্যের দিনেও ফ্লোর প্রাইস তিন কোম্পানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর নির্দেশনা জারির পরদিন শেয়ারবাজারে ৪৫টি বিমা কোম্পানির বিক্রেতা না থাকলেও তিনটির ক্রেতা ছিল না। দর কমার সর্বনিম্ন সীমা ফ্লোর প্রাইসেই আটকে ছিল পুপলার, প্রগতি ও প্রগ্রেসিভ লাইফের। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার জারির পরই শেয়ারবাজারে প্রি-মার্কেট সেশনে বিমা কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু ঠিক উল্টোটা ঘটেছে তিনটি জীবন বিমা কোম্পানির। অথচ এই বিমা তিনটির লভ্যাংশ ঘোষণা ও প্রিমিয়াম আয়ও ভাল। এই কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগকারীরা ফ্লোর প্রাইসের কবল থেকে মুক্তি পেতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। পপুলার লাইফ ॥ ৬০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ৭৬.৭০ টাকায় মোট ১ লাখ ৮১ হাজার শেয়ার লেনদেন করেছে। প্রগতি লাইফ ॥ ৩০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এবারও প্রিমিয়াম আয় আগের তুলনায় ভাল করেছে। ৮৮ দশমিক ৩০ টাকা ফ্লোর প্রাইসে কোম্পানিটির ১৯ হাজার ২৯৯টি শেয়ার লেনদেন করেছে। প্রগ্রেসিভ লাইফ ॥ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিশোধিত মূলধন কম হচ্ছে প্রগ্রেসিভ লাইফের। মাত্র ১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ১০৩ দশমিক ২০ টাকায় দিনটিতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩০৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিগত অর্থবছরে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, বিমা এজেন্টদের কমিশন কমিয়ে দেওয়ার কারণে সাধারণ ও জীবন বিমা সবগুলোর দর বেড়েছে। কিন্তু ভাল প্রিমিয়াম আয় করলেও জীবন বিমাগুলোর দর সেই তুলনায় বাড়েনি। কোম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা অব্যবহৃত না রেখে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা যেভাবে উপকৃত হবে, ঠিক শেয়ারবাজারেও গভীরতা বাড়বে বলে তারা মনে করছেন।
×