স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভ্যাকসিনের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হলে সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারত থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে আসছে। ঢাকা শহরে এক সঙ্গে ৩০০ টিকাদান কেন্দ্রে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) এর সঙ্গে এক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশকে কিছু ভ্যাকসিন উপহার হিসেবেও দিচ্ছে। তবে উপহার হিসেবে কত টিকা আসছে সেই সংখ্যাটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে সংখ্যাটি ভালই। বাংলাদেশ সরকারীভাবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে, যার প্রথম চালান ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার।
সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ছাড়াও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন ভারত সরকার। উপহার হিসেবে ভারত কোন কোম্পানির কী পরিমাণ টিকা বাংলাদেশকে পাঠাবে, তা জানাতে না পারলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, উপহার হিসেবে পাওয়া টিকা সরকারের কেনা টিকার প্রথম চালানের ‘আগেও’ দেশে চলে আসতে পারে। এটা যে কোন দিন চলে আসবে। এটা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিষয় তো, এ কারণে সঠিক দিন তারিখ এখনই বলতে চাই না। যখন আসবে তখন জানিয়ে দেব। কিন্তু আমরা আশা করছি, আমরা ভারত থেকে যে প্রথম লট পাব, তার আগেও চলে আসতে পারে।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের পাশর্^প্রতিক্রিয়া নিয়ে এখন দেশে দেশে আলোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতে ভ্যাকসিনের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া বিশ্বেজুড়ে আলোচিত বিষয়। আগামী মাস থেকে দেশেও ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা তুলে ধরা হলেও ভ্যাকসিন প্রয়োগেই এসব হচ্ছে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে ভারতে প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হলেও তা ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে হয়নি বলে দেশটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগে জ¦র, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব দেখা দিচ্ছে অনেকের মধ্যে। এই প্রতিক্রিয়া কয়েক ঘণ্টা থাকছে। প্রচলিত চিকিৎসায় যার উপশম হচ্ছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করা অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিক কোভ্যাক্সিন একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে প্রয়োগ করছে দেশটি। তবে পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়া ‘কোভিশিল্ড’ এবং কোভ্যাক্সিন কারা কারা নিয়েছেন তার পরিসংখ্যান ভারত প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশও যেহেতু সেরামের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনেছে এজন্য কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেটা আছে, সেটি গুরুতর নয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: