ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুন্ডে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, আটক ০২

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

সীতাকুন্ডে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, আটক ০২

নিজস্ব সংবাদদাতা,সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড এলাকায় গণপিটুনিতে এক অজ্ঞাতনামা ডাকাত (৫৩) নিহত হয়েছে। রবিবার রাত তিনটায় দিকে বাড়বকুন্ড ইউনিয়নে মান্দারীটোলা গ্রাসে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সোমবার সকালে লাশটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। এই ঘটনায় সন্দেহ জনক দুই ডাকাতকে আটক করে এলাকাবাসী থানা সুপর্দ করে। জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতি করে ফেরার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে ৩ ডাকাত। এ সময় উত্তোজিত জনতা গণদোলাই দিলে এক ডাকাত নিহত হয় এবং অপর দুইজনকে এলাকাবাসী পুলিশের হাতে তুলে দেন। সোমবার ভোরে ৪টার দিকে বাড়বকুন্ড মান্দারীটোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার জামাল উল্লাহ্ জানান, পার্শ্ববর্তী মুরাদপুর ইউনিয়নের দুই বাড়িতে ডাকাতি করে ফিরে যাচ্ছিল ১১ জনের একটি ডাকাত দল। এ সময় ডাকাতি প্রতিরোধে গঠিত এলাকা ভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটির দুই যুবককে একা পেয়ে তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এরপর ওই দুই যুবক স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করলে জনগনও ডাকাতি প্রতিরোধ গঠিত কমিটির লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। স্থানীয় জনতা তিন ডাকাতকে ধরে গণধোলাই দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আহত এক ডাকাতকে সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র নিয়ে গেলে সকালে তার মৃত্যু হয়। অপর দু’জনকে সীতাকুন্ড মড়েল থানার পুলিশ নিয়ে যায়। ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করে সীতাকুন্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম এবং ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক। উল্লেখ্য , গত এক মাসে সীতাকুন্ডের কুমিরা হইতে ০১নং সৈয়দপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত ১৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে ৩০ জনকে ঘুমের ঔষধ দিয়ে অচেতন করা হয়েছে। এরপর গত রবিবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয় এলাকায় এক প্রবাসী বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের হাত, মুখ বেঁধে নগত ৫ লক্ষ টাকা, ৪০ ভরি, স্বর্ন, দুটি ল্যাপটপ, দুটি ট্যাব ও ৫টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। ২০/২২ জনের একটি ডাকাতদল দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে একটি রুমে আটকিয়ে রাখে। এসময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণলাঙ্কার ল্যাপটপ, ট্যাব ও মোবাইল নিয়ে যায়।বাধ্য হয়ে জানমাল রক্ষর্থে লোকজন চুরি, ডাকাতি রোধে প্রতি রাতে দল বেঁধে পাহারা দেওয়া শুরু করেন। ডাকাতের ভয়ে এক প্রকার আতঙ্ক কাজ করছে মানুষের মধ্যে।
×