ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবনে ৮৮ পুকুর খনন ॥ বন্যপ্রাণী পাবে মিঠাপানি

প্রকাশিত: ১৭:১০, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

সুন্দরবনে ৮৮ পুকুর খনন ॥ বন্যপ্রাণী পাবে মিঠাপানি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ৮৮ টি পুকুর খনন ও পুণ:খনন করা হচ্ছে। বাঘ, হরিণসহ বনজীবী, পর্যটক ও বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিঠাপানির চাহিদা মেটাতে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। ৮৮টি পুকুরের মধ্যে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে শরণখোলা রেঞ্জের দুবলায় দুটি ও বগীতে নতুন করে তিনটি পুকুর খনন করা হচ্ছে। এই রেঞ্জের ২৪টি পুকুর পুনঃখননের মধ্যে কচিখালী অভয়ারণ্যে চারটি, কটকা অভয়ারণ্যে চারটি, দুবলায় এলাকায় তিনটি, শরণখোলা রেঞ্জ সদরে দুটি ও দাশেরভারানীতে দুটি। এছাড়া একটি করে পুকুর পুনঃখনন করা হচ্ছে ডুমুরিয়া, চরখালী, তেরাবেকা, চান্দেশ্বর, শাপলা, ভোলা, শেলারচর, কোকিলমুনি ও সুপতিতে। চাঁপাই রেঞ্জে পুকুর পুনঃখনন করা হচ্ছে ২৬টি। এর মধ্যে রয়েছে ধানসাগরে তিনটি, গুলিশাখালীতে তিনটি ও আমুরবুনিয়ায় দুটি। একটি করে পুকুর পুনঃখনন করা হচ্ছে চাঁদপাই, ঢাংমারী, লাউডোপ, জোংড়া, ঘাগড়ামারী, নাংলী, হরিণটানা, কলমতেজী, তাম্বুলবুনিয়া, জিউধরা, বরইতলা, কাটাখালী, শুয়ারমারা, মরাপশুর, বৈদ্যমারী, আন্ধারমানিক, হারবাড়িয়া, নন্দবালা ও চরাপুটিয়ায়। এছাড়া পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগে একটি নতুন পুকুর খনন ও ৩৪টি পুকুর পুনঃখনন এবং ৩০টি পুকুরের পাকা ঘাট নির্মাণ করা হবে। এসব পুকুর খনন ও পুনঃখননের কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে। বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের প্রাণ হচ্ছে গাছপালা ও বন্যপ্রাণী। সুন্দরবনের মধ্যে থাকা পুকুরগুলো ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণীগুলো সুপেয় পানি সংকটের মধ্যে ছিল। এই অবস্থায় বন বিভাগ সুন্দরবনের বাঘ ও মায়াবী হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে অবশেষে ৪টি নতুন পুকুর খনন ও ৮৪ পুকুর পুনঃখনন করাসহ ৭০টি পুকুরে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ঘাট। বন্যপ্রাণীর আধিক্য রয়েছে এমন এলাকাগুলোতে এসব পুকুর খনন ও পুনঃখননের কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে। জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে এসব পুকুর খনন ও পুনঃখননে ব্যয় হচ্ছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ফলে বন্যপ্রাণীগুলো দীর্ঘদিনের সুপেয় মিঠা পানির চাহিদা মেটাবে।
×