ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্নময় বিয়ের সাজ পোশাক

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

স্বপ্নময় বিয়ের সাজ পোশাক

জ্যোৎস্নায় প্লাবিত সারা প্রকৃতি। ঝিরি ঝিরি, ফুরফুরে হাওয়ায় মনটা কেমন যেন উন্মনা হয়ে যায়। এটা নিসর্গেরই এক নিবিড় অনুরণন মন ও হৃদয়ে। প্রাণ ব্যাকুল করা প্রাকৃতিক আবহ শরীরের প্রতিটি পল্্অনুপলে অন্য এক আবেশের সঞ্চার করে। বাতাসে হাস্নাহেনার মিষ্টি গন্ধ। জান্্লার গ্রিলে মুখ রেখে আকাশ দেখা। রাত্রির নিঃসঙ্গ তারাঙ্কিত দিগন্তের দিকে চোখ রাখতেই যেন স্বপ্নের রঙে আঁকা কারও মায়াবি মুখচ্ছবি হৃদয়পটে ভেসে ওঠে। সে মুখ না হয় অচেনা। তবুও তো মনের আর্শিতে উজ্জ্বল আভায় ঝিলিক দিয়ে উঠলো স্বপ্নজাগা মুখের অপরূপ আদলটা। মনের যখন এ অবস্থা। প্রকৃতিতে যখন মোহনীয় এমন আমেজ জড়িয়ে যায়। তখনই তো দূরে অনেক দূর থেকে ভেসে আসা সানাইয়ের সুরের মূর্ছনার মতো একটা মিহি সূর বুঝি অলক্ষ্যে বেজে উঠে হৃদয়কে চঞ্চল করে তোলে। মন ও প্রকৃতির এই রেশ ধরেই জগত সংসারে একজন পুরুষ ও একজন নারীর সন্ধি হয়। বিয়ে হয়। সারা জীবনের জন্য একজন আরেক জনের সঙ্গী হয়। সুখে-দুঃখে, ভালোবাসায়, ভালো লাগায় একে অপরের জীবনের মায়ায় জড়িয়ে পড়ে। সৃষ্টির আদি থেকে এখন পর্যন্ত চলে আসছে একজন পুরুষের সঙ্গে একজন নারীর বিয়ে বন্ধনের প্রথা ও রীতি। মানুষের জীবনে বিয়ে যেমন অপরিহার্য, অনস্বীকার্য একটা বিষয়Ñ তেমনি সময়ের বিবর্তনে এই বিয়ের আঙ্গিকেও এসেছে রূপবদল। প্রাচীন রীতিকে ধারণ করে আধুনিকতার মোড়কে আবৃত করে বিয়ের আদলটাকে আরও আকর্ষণীয় এবং আনন্দঘন করার প্রেক্ষাপটটা হয়ে উঠেছে অসামান্য নান্দনিক আর দৃষ্টিনন্দন। পরিবর্তনের এই ধারায় বিয়ের সামগ্রিক চিত্রটা বদলে গিয়ে পোশাকী আবহটাও বিশেষভাবে দেখার মতো জমকালো আর বর্ণাঢ্য হয়ে উঠেছে। সাজসজ্জা, পোশাক, কাঁচাফুলের সৌরভ, আলোকোজ্জ্বলতা, পরিবার, পরিজন, আত্মীয়-বন্ধু’র সমাগমে একটা আয়োজিত বিয়ের পুরো পরিবেশটাই যেন মুখর হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে আনন্দে উদ্বেল। অনন্তকাল ধরে চলে আসা এই বিয়ের আয়োজন রয়েছে একেক রকম উৎসবী আমেজ। নগর কিংবা শহর অঞ্চলে বর-কনে, বিয়ে বাড়ি, আয়োজনের যে ধরন, গ্রামের ধরন একই রকম হলেও বর্ণাঢ্য হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাটা যেন একটু বাদ সাধে উৎসবের ছন্দে। কেননা, শহরে বরযাত্রীর ফুলে সাজানো গাড়ি সহজে কনের বাড়িতে যাওয়ার সুব্যবস্থা থাকলেও গ্রামে এক্ষেত্রে হেঁটে, রিকশা, লঞ্চ কিংবা নৌকা, ট্রলার ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে’। তবে কোথাও কিন্তু আনন্দের একটুও কমতি নেই। বিয়ের সামগ্রিক আয়োজনটা এখন অনেক আধুনিক। সেটা কী শহর, মফস্বল অথবা গ্রাম। সব বিয়েতেই থাকে সামর্থ্য অনুযায়ী বর ও কনের জন্যে ভালো পোশাক, গহনা, অতিথি আপ্যায়নের আন্তরিক উদ্যোগ। তবে এ ক্ষেত্রে বিয়ের কনেকে তার আটপৌরে আবহ থেকে বের করে এনে একেকবারে অপূর্ব সুন্দরীর বেশে তাকে সাজিয়ে তোলার সব রকম প্রচেষ্টা থাকে। অবশ্য একজন নারী প্রাকৃতিক নিয়মেই থাকেন লাবন্যময়, সুন্দর। সেই সৌন্দর্য্যকে বিয়ের সময় একটু বাড়তি পরিচর্যায় যেন আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। এক্ষেত্রে বিউটি পার্লারের-বিউটি এক্সপার্টের থাকে বিশেষ ভূমিকা। বিয়েতে পার্লারের গুরুত্বটা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। বিয়ে ধর্মীয় রীতির প্রধান অনুষঙ্গ। একজীবনে মানুষ বিয়ের মধ্য দিয়ে জীবনের পূর্ণতা অর্জন করে। আর এই অর্জন অব্যাহত থাকে বংশানুক্রমিক ধারায়। আমাদের দেশে বিয়ের মৌসুম শুরু হয় শুষ্ক দিনে। যতটুকু সম্ভব গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষাকালটাকে এড়িয়েই সাধারণ বিয়ের জন্য শুভ দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বৃষ্টি বাদলের বিড়ম্বনা এড়াতে শীত-বসন্তকালকেই মূলত বিয়ের মৌসুম হিসেবে চিত্রিত করা যায়। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। গ্রামের বিয়ে কখনও-কখনও বর্ষাকে সামনে রেখেও নির্ধারণ করা হয়। কারণ যাতায়াতের সুবিধার্থে যদি লঞ্চ, ট্রলার কিংবা নৌকার প্রয়োজনটা অপরিহার্য হয়ে ওঠে তখন বর্ষাকালটাই বিয়ের আয়োজনের জন্য উত্তম। অন্যথায় সাধারণত বৃষ্টিমুক্ত পরিবেশটাই বিয়ের জন্য বিশেষ পছন্দের। দৈনন্দিন সাংসারিক জীবনের প্রধান অনুষঙ্গ যেমন বিয়ে, তেমনি বিয়ের প্রধান প্রসঙ্গ হলো আনন্দ-উৎসব, গায়ে-হলুদ, বরযাত্রা, বিয়ের অনুষ্ঠান, বিয়ের জন্য শপিং, সাজগোজ, গহনাপত্র পোশাক আশাক, বৌ-ভাত, ফ্যাশনেবল আবেশসহ পুরো বিয়েতেই থাকে একটা ঝলমলে আমেজ, যা আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির চিরন্তন রূপ। আর এই বিয়ের মধ্য দিয়েই একটা সুন্দর গোছানো-মোছানো জীবন ও সংসার মানুষ পেয়ে যায়। বিয়ের দিন ক্ষণ সব গুছিয়ে এলেই শুরু হয়ে যায় কেনাকাটার পর্ব। একটা সময় ছিল শুধুমাত্র বিয়ে ছাড়া অন্য সব কিছু তেমন গণ্য ছিল না। কিন্তু বর্তমানে কেনাকাটার পর্বটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর এ গুরুত্ব উললব্ধি করেই ফ্যাশন হাউসগুলো মাঠে নেমেছে বেশ জোরে শোরেই। গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে বিয়ে, বৌভাত, ফিরানি সব অনুষ্ঠানেরই যাবতীয় সরঞ্জামাদির পসরা সাজিয়েছে তারা, তবে সব কেনাকাটার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কনের শাড়ি এবং বরের শেরওয়ানি। এ দুটো আইটেম কেনাকাটায় বর-কনে উভয় পক্ষই বেশ চুজি হয়ে থাকে। এ কারণে ড্রেস ডিজাইনাররাও এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। ক্রেতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা থাকে ডিজাইনারদের। কনের শাড়ি বেশ কালারফুল এবং গর্জিয়াস ভাব ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস থাকে। স্টোন, মেটাল এবং কারচুপি কাজের মাধ্যমে শাড়িকে আকর্ষণীয় করে হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে এপ্লিকের কাজও চোখে পড়ে। বেনারসী পল্লী, বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে ঢুঁ মারলে পছন্দসই শাড়ি মিলবে। এছাড়াও অভিজাত অন্য শপিং মলগুলোতেও দেখা মিলবে বিয়ের শাড়ি, ডিজাইন, কাপড় ও কাজের ওপর মূল্য নির্ভর করে। কনের শাড়ি ৪০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। লাখ টাকার উপরেও শাড়ি পাওয়া যাবে ঢাকাতেই। শেরওয়ানিই ঠিক তাই। অর্ডার দিয়ে বানাতে গেলে অর্ডারের ধরন অনুযায়ী দাম পড়বে। দেশী দশ-আড়ং, লুবনান, শপার্স ওয়ার্ল্ড জারা, ভাসাবিতেও পছন্দের শেরওয়ানি মিলবে। ৫,০০০ থেকে লক্ষাধিক টাকা দামেরও রয়েছে। এখন বেশ কিছু ফ্যাশন হাউস কমপ্লিট ব্রাইডাল প্যাকেজ অফার করছে। অর্থাৎ এক জায়গায় বিয়ের যাবতীয় কেনাকাটা করা যাবে। বিয়ে উৎসবের রঙিন আকাশকে আরও রঙিন করে তোলে কেনাকাটার পর্বটি, কারণ এই কেনাকাটাতেও রয়েছে অনাবিল আনন্দ। বিয়ের সাজ : সানাইয়ের সুর কানে ভেসে আসলেই মনের জানালায় ফুটে ওঠে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। উঁকি দেয় নানা উৎসবমুখর আয়োজনের স্মৃতি। নারী পুরুষের দুটি হৃদয়ের মেলবন্ধনের নামই বিয়ে। সূত্রপাত হয় নিবিড় এক সম্পর্কের। যে সম্পর্ক দিয়েই পাড়ি দিতে হয় জীবনের বাকি পথ। আস্থা আর নির্ভরতার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যায় সম্পর্ক। উৎসবপ্রিয় বাঙালী জাতি যে কোন উৎসব পেলেই যেন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক হয়ে যায়। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে উৎসবকে সম্পন্ন করতেই যেন ব্যস্ত থাকে সবাই। এ ঐতিহ্য বাঙালীর হাজার বছরের। কিছু কিছু উৎসবের আবেশ যেন ছড়িয়ে যায় বহুদূর। রঙিন হয়ে ওঠে উৎসবের আকাশ। তেমনি এক উৎসব হচ্ছে বিয়ে। একেক জাতি কিংবা একেক ধর্মাবলম্বী একেক স্টাইলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে থাকলেও উৎসবের আমেজ যেন একই। আনুষ্ঠানিকতার ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেলেও উৎসবের ধরন একই রকম। বর-কনে নিয়ে মাতামাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে সবাই। সবচেয়ে বেশি উৎসুক দৃষ্টি থাকে কনের সাজ নিয়ে। বিয়ের শাড়ি গয়নার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কনের সাজ কেমন হলো এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার যেন শেষ নেই। একটা সময় ছিল যখন কনের সাজ বাড়িতেই সম্পন্ন হতো। কালের আবহে পাল্টে গেছে দিন, পাল্টে গেছে ক্ষণ। এখন ঘরে বসে কনের সাজের দিন আর নেই। অপরূপ কনের সাজ তুলে ধরতে সৃষ্টি হয়েছে বিউটি সেলুনের। যারা রীতিমতো গবেষণা করে কনেকে সাজিয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, একেক অনুষ্ঠানের সাজ পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর একেক রকম হয়ে থাকে। অর্থাৎ গায়ে হলুদ, বিয়ে এবং বৌভাতের সাজ একেক স্টাইলের হয়ে থাকে। কোনটার সঙ্গে কোনটার মিল নেই। আর মিল থাকার কথাও নয়। সঙ্গত কারণেই তিনটি উৎসবের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন রকমের। মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন। আর এ সচেতনতার প্রভাব পড়েছে বিয়ে-শাদিতে। যে কারণে এখন আকদ-এর মতো অনুষ্ঠানে কনে বিউটি সেলুনে এসে সেজে যায়। এটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক দিক। আকদ-এর সাজ : দিন যতই গড়াচ্ছে মানুষ তত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। আর এ ব্যস্ততা নিজের প্রতি যত্ন নেয়ার অবসরটুকু দেয় না। যে কারণে বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে মেয়েরা ভিড় জমায় বিউটি পার্লারে। যার ফলশ্রুতিতে আকদ-এর সাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে পার্লারে। তবে আকদ-এর সাজ গায়ে হলুদ, বিয়ে কিংবা বৌভাতের তুলনায় হাল্কা হয়ে থাকে। সাজের সব উপকরণ ব্যবহৃত হলেও ভারি সাজের প্রভাব তাতে থাকে না। একটু খোলা চুল কিংবা কার্লি স্টাইলে রাখা হয় চুলের সাজ। শাড়ি এবং জুড়ির ওপর বেজ মেকআপ করা হয়ে থাকে। হাল্কা সাজের প্রতিবিম্ব দেখা যায় বিয়ের আসরে। অর্থাৎ আকদ-এর দেখে সবাই সবাই ধারণা করে নেয় বিয়ের সাজে কনেকে কেমন লাগবে। হলুদের সাজ : হলুদের সাজে এক ধরনের ফ্লাওয়ারিশ ভাব লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ হলুদের প্রতিটি পদক্ষেপে ফুলের প্রাধান্য বিদ্যমান। এ কারণেই হলুদের সাজে ফুলের প্রভাব লক্ষণীয়। হলুদে কনেকে সাজানো হয় ফুলের গহনায়। আর ফুলের গহনা কি রঙের তার ওপর নির্ভর করে হলুদের সাজ। সেই সঙ্গে শাড়ির রঙ তো রয়েছেই। কেউ বাসন্তি কিংবা গাড়ো হলুদ রঙের শাড়ি কিংবা হালকা হলুদ রঙের শাড়ি পড়ে থাকে। যে কারণে রঙ অনুযায়ী সাজও ভিন্ন হয়ে থাকে। হলুদে চোখের সাজ বলতে একটু লাইনার কিংবা কাজল টেনে দেয়া। পাপড়িতে ফ্লাওয়ার বেজ হালকা শেড। বিয়ে : প্রথাগত বিয়ের সাজের বাইরে এখন সাজানো হয় কনেকে। বিশেষ করে থিম বেজ সাজ। যেমন পিকক কিংবা ফেয়ারি সাজ। পিকক থিম বেজ বলতে স্টেজ থেকে শুরু করে বর কনের বসার জায়গা পর্যন্ত সবকিছুতেই থাকছে ময়ূরের সাজ। আর এর ওপর নির্ভর করেই সাজানো হয় কনেকে। শাড়ি গয়না এবং স্টেজ সবকিছুর বর্ণনা দেয়া থাকলে সাজটা হয় পারফেক্ট। সহজেই মানিয়ে যায় এবং দ্রুত দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম। লুকটা হয়ে থাকে একদম ডিফারেন্ট। তবে এসব বিষয় না জানা থাকলে ট্রেডিশনাল মেকআপ অথবা শাড়ি গয়নার ওপর বেজ করে মেকআপ করা হয়ে থাকে। থিম বেজ ছাড়া কেউ কেউ বিয়েতে মডার্ন লুক ডিমান্ড করে। তখন সেভাবেই সাজানো হয় কনেকে। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে কনের চাহিদার ওপর। বৌভাত : বিয়ে-শাদির আনুষ্ঠানিকতায় সবচেয়ে সুন্দর সাজ হয়ে থাকে বৌভাতে। কারণ বৌভাতে শাড়ি কিংবা গয়নার রঙের কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না। যে কারণে সাজটাও হয় ডিফারেন্ট। এ পর্বে বর এবং কনে উভয়ই বেশ রিলাক্স মুডে থাকে। যে কারণে সাজের আবহটা বজায় থাকে। এ কারণেই পুরো অনুষ্ঠানেই এক ধরনের রিফ্রেশমেন্ট কাজ করে। বিয়ে এবং বৌভাতে চুলের সাজে বড় রকমের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। চোখের শেড এ ভারি কাজ বেশ মানিয়ে যায়। বিশেষ টিপস : অনেকেই বিয়ের আগে মেনিকিউর পেডিকিউরসহ অন্য যেসব রূপচর্চা আছে তা একবারে সেরে নেয়। যদিও সময়ের অভাবে অনেকে তা করে থাকেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকে শুরু করলে। এতে বিয়ের সময় বেশ রিফ্রেশ লাগে। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায় বহুগুণে। এছাড়া হেয়ার ট্রিটমেন্ট কিংবা ওয়াস্টিন বা লোমের ট্রিটমেন্ট আগে থেকে করিয়ে নিলে তাড়াহুড়ার মধ্যে পড়তে হয় না। আমাদের দেশে বরের সাজের ব্যাপারে তেমন কেউ আগ্রহ প্রকাশ করে না। এটা ঠিক নয়। বরের জন্যও হালকা, প্রয়োজনভেদে ভারি মেকআপের প্রয়োজন রয়েছে। ভারি মেকআপ করা পরিপাটি কনের পাশে মেকআপ ছাড়া বরের ছবি যেন অনেকটাই ম্লান। যে কারণে বরের বেসিক মেকআপের প্রয়োজন রয়েছে। এখন অবশ্য বিয়ের আগে পাত্র নিজেই চলে আসে নিজেকে পরিপাটি করতে। এটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক দিক। একটা বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত সবারই, সেটা হলো বিয়ের অনেকেই কারণে অকারণে কনেকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করে থাকে। দেখা গেছে ৩-৪ ঘণ্টা মেকআপের বড় একটা সময় ব্যয় হয় ফোন রিসিভ করা নিয়ে। আবার বিয়ের আসরে অনেকেই বিভিন্ন ইনফরমেশন দিয়ে টেনসে ফেলে দেয় কনেকে। যেটা কনেকে না দিলেও চলে। যেমন বর পক্ষের কোন মন্তব্য, কিংবা পারিবারিক ইস্যু যেটা গার্ডিয়ানরা সমাধা করতে পারে সেরকম কোন তথ্য কেউ কনের কানে দিয়ে তাকে ডিস্টার্ব করা হয়। যার প্রভাব পড়ে চেহারায়। বিয়ের মতো নির্মল এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানে সতেজ থাকাটাই সবার কাম্য। সঠিক মেকআপই পারে সে সতেজতা অনেকখানি তুলে ধরতে। মডেল : সেলিম, আনিকা, বর্ষা, রোমানা, মানতাসা ও সালমান ছবি : ইফতি পোশাক ও গয়না : জাহিদ আকাশ মেকআপ : নাদিয়া
×