ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারলে পৌরসভা পরিষদ বাতিল

প্রকাশিত: ২৩:১২, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারলে পৌরসভা পরিষদ বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলে এবং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হবে এমনটাই আইনে বলা আছে। অথচ অনেক পৌরসভাই নাকি স্টাফদের বেতন দিতে পারছে না। প্রকৃতপক্ষে মানুষ পৌরসভায় ট্যাক্স দিতে পারেন না এমন কথা বর্তমান সময়ে বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই দেশের পৌরসভাগুলো নিজেদের কর্মচারীদের ১২ মাসের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পরিষদ বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে বর্তমান আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিযেছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘স্ট্রেনদেনিং দ্য আরবান লোকাল গবর্নমেন্টস্ ইন বাংলাদেশ শীর্ষক’ এক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা জানান। পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশের ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন,দেশের বেশিরভাগ পৌরসভা তাদের স্টাফদের বেতন দিতে পারে না। মানুষ পৌরসভায় ট্যাক্স দিতে পারেন না বর্তমান যুগে এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাগুলোতে নিজস্ব আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর সঙ্কট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদসহ ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের শক্তিশালী করলেই হবে না, জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, কেউ জবাবদিহিতার বাইরে নয়। মন্ত্রী বলেন, শহরের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। পুরো দেশই শহরে রূপান্তরিত হবে। আর শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেলে ঢাকায় আর মানুষকে থাকতে হবে না। জনগণ শহরের সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই পাবে । ঢাকাকে বসবাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে হলে, জোন ভিত্তিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা, ওয়াটার বডিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস সরবরাহ করতে হলে নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হবে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে আর ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। কোথায় সুউচ্চ ভবন হবে, কোথায় কমার্শিয়াল এরিয়া হবে সকল পক্ষের মতামত নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
×