ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ১১৪ পরিবারের বাড়ি

প্রকাশিত: ১৭:২২, ১৭ জানুয়ারি ২০২১

শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ১১৪ পরিবারের বাড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ অবশেষে কাঙ্খিত সেই ক্ষণের জন্য এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন পায়রা বন্দর নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের মালিকরা। প্রথম পর্যায়ের ১১৪টি পরিবারকে পুনর্বাসনে প্যাকেজ-১ এর বাড়িগুলো এখন প্রস্তুত রয়েছে। মুজিববর্ষের এই উপহার খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাড়িহারা মানুষগুলোর স্বপ্নের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপের খবরটি নিশ্চিত করেছে। ক্ষতির শিকার জেলে ও কৃষক পরিবারগুলো পরিজন নিয়ে পাকা বাড়িতে ওঠার অপেক্ষায় এখন বিভোর হয়ে আছেন। এই প্রকল্পটি নির্মিত হওয়ায় অনগ্রসর অজোপাড়াগাঁ কলাপাড়ার পায়রাবন্দর এলাকার লালুয়া ইউনিয়নের মেরাউপাড়া গ্রামটিতে এখন পৌছে গেছে শহরের সুবিধা। মানুষগুলো স্বপ্নের ভাবেন নি ঘর-বাড়ি-গাছপালা জমির ক্ষতিপুরনের টাকা পাওয়ার পরও চার কাঠা এবং তিন কাঠা জমিতে নির্মিত একতলা পাকা বাড়ি পাবেন। স্বপ্নের এই বাড়ির দ্বার উম্মোচনের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন দরিদ্র-হতদরিদ্র জেলে-কৃষকসহ হাইলা-কামলা শ্রেণীর মানুষ। আজ রবিবার সকালে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মোঃ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পুনর্বাসন প্রকল্পের এক নম্বর প্যাকেজসহ তিনটি প্যাকেজ পরিদর্শন করেন। তিনি নবনির্মিত বাড়ির কক্ষসহ বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। নেন খোঁজ-খবর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই প্রথম প্যাকেজের উদ্বোধন করবেন বলে মন্ত্রী নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায়, উন্নয়ন কর্মকান্ডে কেউ ভূমিহীন হয়নি। একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন দেশের মানুষের মৌলিক সমস্যা বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্যসহ সবকিছু সমাধান করছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার পাঁচ শ, পরিবারকে ১৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে পুনর্বাসনের কাজ চলছে। যার প্রথম প্যাকেজর আধুনিক সুবিধা সংবলিত বাড়ি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী অবগত হন ১৪টি প্যাকেজের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে। এসময় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোলসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
×