ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান মোমেনের

প্রকাশিত: ০০:১৫, ১৭ জানুয়ারি ২০২১

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান মোমেনের

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন একটি জাতিগত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অকল্পনীয় অত্যাচার-নির্যাতনের বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও সংবেদনশীল করার জন্য রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘একটি জাতিগত সংখ্যালঘু (রোহিঙ্গা) গোষ্ঠী যারা ঘৃণা-বিদ্বেষ ও শত্রুতার শিকার হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী একটি দেশে (মিয়ানমার) যারা অহিংসা ও আত্মশুদ্ধির জন্য নির্বাণে বিশ্বাস করে এবং যেখানে ঘৃণা ও হত্যা কল্পনা করা যায় না এবং তা বুদ্ধের শিক্ষার পরিপন্থী। ড. মোমেন শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী। এই উৎসবে ৭৩টি দেশের মোট ২২৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। খবর বাসসর। বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই সেখানে উপস্থিত হয়েছিল ২৫ আগস্ট, ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ক্র্যাকডাউন চালানোর পর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মানবিক গল্প মানুষের মন, স্মৃতি এবং কল্পনার জগতে জায়গা করে নিতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে শিল্পীরা অনেক দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে স্বাস্থ্য এবং সামাজিক-দূরত্ব মানার বিধিনিষেধের শর্ত বজায় রেখে সিনেমা হলগুলো আবার চালু করেছে। মোমেন আশা প্রকাশ করেন, এই উৎসব দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ভবিষ্যতে আরও ভাল চলচ্চিত্র তৈরি করতে উৎসাহ দেবে এবং এতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করবে। তিনি এই বছরের উৎসব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসর্গ করার প্রশংসা করেছেন। মন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এফডিসি) গঠনের জন্য সর্বপ্রথম বিলটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে পেশ করেছিলেন। এই এফডিসি স্বাধীনতার পরে বিএফডিসিতে পরিণত হয় এবং আজ অবধি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের মূল ভিত্তি ধারণ ও লালন করে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমি খুব আনন্দিত যে, জাতির পিতার ওপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কাজের ওপর এই চলচ্চিত্র তৈরির জন্য এই জানুয়ারিতে শূটিং শুরু হচ্ছে।
×