ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে কারসাজি রোধে কাজ চলছে ॥ বিএসইসি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০০:০৮, ১৭ জানুয়ারি ২০২১

শেয়ারবাজারে কারসাজি রোধে কাজ চলছে ॥ বিএসইসি চেয়ারম্যান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে অনিয়ম ঠেকাতে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ১০ গুণ ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। এখন কেউ কারসাজি করলেই আমরা ধরে ফেলব। সেইসঙ্গে শেয়ারবাজারে কারসাজি থামানোর কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। শনিবার শেয়ারবাজার নিয়ে ইনোভেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েটস (আইডিইএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে কিভাবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের উৎস হিসেবে গড়ে তোলা যায়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আইসিবি শক্তিশালী করার জন্য আমরা ৫ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বা ব্যাংকিং খাতের যদি বাড়তি টাকা থাকে, তাহলে এর সঠিক ব্যবহার করা যাবে। শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ১৯৯৬ সালে এবং ২০১০ সালে যে ধস হয়েছে সে সময় আজকের মতো পুঁজিবাজার নিয়ে সবার জ্ঞান ছিল না। ১৯৯৬ সালে মানুষ হাতে কাগজ নিয়ে মতিঝিলে শেয়ার লেনদেন করত। এখন কিন্তু এরকম নেই। এখন এগুলো সব চলে এসেছে সিসিবিএল, সিডিবিএল এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আইটি প্লাটফর্মের মধ্যে। আমাদের সার্ভিলেন্সের সফটওয়্যার এখন অনেক শক্তিশালী। তিনি বলেন, এখন কেউ বাজার নিয়ে খেলতে শত কোটি বা হাজার কোটি নিয়ে এলেও কোন লাভ হবে না। কারণ আমরা তার ১০ গুণ ক্ষমতা দিয়ে দিচ্ছি আইসিবিকে। যাতে কেউ খেলতে এসে কোন সুবিধা না করতে পারে। কেউ খেলতে চাইলে আমরা তাকে তখনই ধরে ফেলতে সক্ষম হব। সাবেক একদল সচিবদের গড়া প্লাটফর্ম আইডিইএ’র প্রথম এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ এবং শেয়ার পড়ে আছে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার। আমরা পড়ে থাকা লভ্যাংশ এবং শেয়ারগুলোকে এখন মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে আইসিবির কাছে নিয়ে আসছি। এই ফান্ডটি পার্পেচুয়াল হবে। যে কেউ যখন তার সঠিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারবেন, তিনি তার টাকা নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু যতদিন এই ফান্ড আইসিবির কাছে থাকবে, এটা আমাদের মার্কেটকে স্ট্যাবল করার জন্য কাজ করবে, বলেন তিনি। আইসিবি যেন এই তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য ‘ফাইন্যান্সিয়াল টুলস’ও তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, মার্জিন ঋণের সুদের হার কমানোর জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কম সুদে ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই ‘মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
×