ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে বিজয়ী কাউন্সিলর খুন

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পৌর নির্বাচন

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ১৭ জানুয়ারি ২০২১

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পৌর নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয় দফায় পৌরসভা নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশেই সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াশা ঢাকা শীতের সকালে শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে নারী-পুরুষসহ সব বয়সী ভোটারদের ঢল ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করে ভোট দিতে দেখা গেছে। তবে শান্তিপূর্ণ এই পরিবেশের মধ্যে কোথাও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে গুটি কয়েক কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কিছু এলাকায় গাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। তবে বেশিরভাগ পৌরসভায় ভোটের পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ। এদিকে পৌরসভা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভাল ছিল বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীর। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। শনিবার ভোটগ্রহণ শেষে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ভোটের শতকরা হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি সেখানে ইভিএমে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ব্যালটে যে তথ্য পেয়েছি তাতে সর্বোচ্চ ৭৫ পার্সেন্ট এবং সর্বনিম্ন ১৫ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে। সার্বিক হিসেব থেকে ৭০-৭৫ শতাংশ ভোট পড়তে পারে উল্লেখ করেন। এদিকে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হলে কেন্দ্র দখল, ভোটা প্রদানে বাধা, এজেন্টদের বের করে দেয়া, হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে পাঁচটি পৌরসভায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মেয়র প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে রয়েছে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভা, রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা, পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা ও মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা। পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রহসনের ভোট হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দখলে। এভাবে নির্বাচনে থাকা যায় না। নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করছি। তবে মুষ্টিমেয় কিছু পৌরসভায় এই ধরনের বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা বাদ দিলে অন্য পৌরসভাগুলোতে নির্বাচন নিয়ে কোন প্রার্থীর অভিযোগ ছিল না বললেই চলে। শনিবার দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে ৬০ পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নারীর-পুরুষসহ সব বয়সী ভোটার সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটের অপেক্ষায় ছিলেন। ভয়ভীতি বা কোন ধরনের হুমকি ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নিজের ভোট প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজির সমন্বয়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়মিত টহল প্রদান করে। সুষ্ঠু নির্বাচন দেখভালের জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ছিলেন তৎপর। ফলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগেই নির্বাচন প্রচারকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন পৌরসভা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন নিহত হন। ফলে আশঙ্কা দেখা দেয় এই দফায় নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে। কিন্তু সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষা পরিবেশে পৌর নির্বাচন সম্পন্ন হচ্ছে। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফায় সারাদেশে ২৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফায়ও কোন কেন্দ্রে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছিল না। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায়ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশেই সম্পন্ন হয়েছে। রাজশাহী ॥ কুয়াশাচ্ছন্ন দিনে তীব্র শীত উপেক্ষা করে তিনটি পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর ভোট বর্জন ছাড়া অপর দুটি পৌরসভায় (আড়ানী ও কাকনহাট) কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শনিবার সকাল থেকে নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটে অংশ নেন। দীর্ঘদিন পর রাজশাহীর তিনটি পৌর এলাকার কেন্দ্রে কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। দুটি পৌরসভায় ইভিএম এবং একটিতে ব্যালটে সীল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ, বাঘা উপজেলার আড়ানী ও গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাটে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি পৌর এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন ভোটাররা। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সে ব্যাপারে তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীরা। এদিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত (ধানের শীষ) মেয়র প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক প্রামাণিক। নির্বাচন চলাকালে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। মেয়র প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, শহীদ সেকেন্দার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি তার নিজের ভোট দিতে গিয়েছিলেন। এ সময় নৌকার সমর্থকরা তাকে ভোট দিতে দেননি। কোনভাবেই তাকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দেশের ইতিহাসে কোথাও এমন হয়েছে যে প্রার্থী তার নিজের ভোট দিতে পারেননি? এমন ভোটে থেকে লাভ কী? গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে প্রচণ্ড শীতে দিনভর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিটি কেন্দ্রেই বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবার পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে জানা গেছে, দুপুর ১টার মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোট পড়ে। তবে গাইবান্ধা পৌরসভার সরকারী কারিগরি টেক্সটাইল ভোট কেন্দ্র ও সরকারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অন্যসব কেন্দ্রের পরিস্থিতি ছিল শান্তিপূর্ণ। সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে দুই পৌরসভার প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও শহরে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ দুটি পৌরসভায় ৫ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করে। বগুড়া ॥ দ্বিতীয়পর্বের পৌরসভা নির্বাচনে শনিবার বগুড়ার ৩টি পৌসভায় (শেরপুর, সান্তাহার ও সারিয়াকান্দি) শান্তিপূর্ণ ও নিরুপদ্রব ভোটগ্রহণ হয়েছে। মাঘের শৈত্যপ্রবাহেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নির্বাচনের প্রচার কার্যক্রমে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণের দিন মেয়র প্রার্থীগণ ভোটারের উপস্থিতির দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। যমুনা তীরের গ শ্রেণীভুক্ত সারিয়াকান্দি পৌরসভায় ভোটার ১৪ হাজার ১৫৮ জন। বেলা দু’টা পর্যন্ত উপস্থিতির হার ছিল ৫৫ শতাংশ। কিশোরগঞ্জ ॥ শনিবার সকাল থেকে দলে দলে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এদিকে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রেই বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে পুরুষ ও নারী ভোটারদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় সাধারণ মানুষজন গণমাধ্যমের কাছে দীর্ঘদিন পর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। একপর্যায়ে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা আশ্রাফুল আলম কেন্দ্র পরিদর্শন করে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন। বাগেরহাট ॥ মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জুলফিকার আলী ভোট বর্জন করেছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের মাদরাসা রোডে নিজ বাসভবনের নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে বিএনপি সমর্থিত ১২ জন কাউন্সিলর ও স্বতন্ত্র দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ভোটকেন্দ্র দখল, এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া, ভোটারদের ভোট দিতে না দেয়া, বুথের মধ্যে অন্যদের উপস্থিতিতে ভোট দিতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলরা বলেন, শুধু মেয়র প্রার্থীর ভোটার সমর্থক নয়, কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক ও ভোটারদেরও কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমাদের সমর্থকদেরও মারধর করেছে আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। ফরিদপুর ॥ বোয়ালমারী পৌর নির্বাচন ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় শেষ হয় বিকেল ৪টায়। পরে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। একটি কেন্দ্রে হামালার জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রটির নাম মধ্যেরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। এটি পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৭২২টি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্ঘিঘ্নে ভোটগ্রহণ করা হয়। ওই সময় পর্যন্ত ভোটারদের লম্বা সারি করে সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে দেখা যায়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কেন্দ্রে এক নম্বর বুথে অতর্কিত একদল লোক ঢুকে নৌকায় সিল মারার প্রস্তাব দেন। ওই সময় এক এজেন্ট এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে দেয়ালে মাথা ঠুকে আঘাত করা হয়। এরপর ওই কেন্দ্রে হাঙ্গামা ও ভাংচুর শুরু হয়। হামলাকারীরা সাতটি ব্যালট বাক্সের মধ্যে পাঁচটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এছাড়া ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ পাঁচটি শর্ট গানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ হামলায় দুইজন পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হয়। আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থনে বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট, প্রকাশ্যে সিল মারা এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে। সিরাজগঞ্জে বিজয়ী কাউন্সিলর খুন ॥ স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, সিরাজগঞ্জ পৌর নির্বাচনে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তরিকুল ইসলাম খান নামের বেসরকারী ফলে বিজয়ী একজন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিপক্ষের ছুুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। তিনি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে বেসরকারী ফলে বিজয় লাভ করেছিলেন। ফল ঘোষিত হওয়ার পর তাকে শহীদগঞ্জ কেন্দ্রে ছুরিকাঘাত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই রাত প্রায় ৮টায় তিনি মারা যান। অভিযোগ রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকেরা তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশী টহল জোর করা হয়েছে।
×