ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আমদানি বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে স্বস্তির ইঙ্গিত

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

আমদানি বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে স্বস্তির ইঙ্গিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পণ্য আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। সর্বশেষ, নভেম্বর মাসে দেশে ৪৮১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা মহামারী শুরুর পর সবচেয়ে বেশি। অর্থনীতিবিদরা এটাকে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের ইঙ্গিত হিসাবে দেখছেন। তারা বলছেন, সব ধরণের পণ্যের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি আমদানির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, গতবছরের নভেম্বরে দেশে ৪৮১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। আমদানির এই অংক আগের বছরের নভেম্বরের তুলনায় ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে দেশে ৪৩৯ কোটি ২৪ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল। ২০২০ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৫৩৩ কোটি ৪১ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। পরের দুই মাস ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আমদানি হয় যথাক্রমে ৪৭২ কোটি ৩৭ লাখ ডলার ও ৪২৭ কোটি ৭২ লাখ ডলারের পণ্য। এরপরেই লাগে করোনাভাইরাসের মহামারীর ধাক্কা। সেই ধাক্কায় এপ্রিলে আমদানি ব্যয় ২৮৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারে নেমে আসে, যা ছিল বহুবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। মে ও জুন মাসে যথাক্রমে ৩৫৩ কোটি ৩৪ লাখ ও ৪৮০ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৪২২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়। অগাস্টে হয় ৩৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য।সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে আমদানি খাতে ব্যয় হয় যথাক্রমে ৪৬৫ কোটি ২৫ লাখ এবং ৪৩৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। নভেম্বরে তা ৪৮১ কোটি ছাড়িয়ে যায়। এ অর্থবছরের পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) মোট ২ হাজার ১৮৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৫৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল, যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০১৮-১৯) চেয়ে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। অর্থনীতির জন্য এটি একটি ‘সুখবর’ মন্তব্য করে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর বলেছেন, আমদানি বাড়া মানে বিনিয়োগ বাড়া, অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হওয়া। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে আমদানি অনেক কমে গিয়েছিল। এখন বাড়তে থাকায় স্বস্তি ফিরে আসছে। শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যাপিটাল মেশিনারি (মূলধনী যন্ত্রপাতি), শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের আমদানিই কমে গিয়েছিল। এখন সবই বাড়তে শুরু করেছে। এটা একটা ভালো খবর।
×