ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাল আমদানিতে ভোল পাল্টাচ্ছে মিল মালিকরা

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

চাল আমদানিতে ভোল পাল্টাচ্ছে মিল মালিকরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চাল আমদানিতে ভোল পাল্টেছেন মিলমালিকরা। গত ১০ দিনে দুদফায় মিলগেটে সরু চালের দাম বস্তায় কমেছে ৫০ টাকা। শুধু তাই নয়; পাইকাররা বলছেন, চাইলেই মিল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল। নেই ধান সংকটের অজুহাতও। তবে আমদানি করা চাল যাতে কেউ অবৈধভাবে মজুত না করতে পারে সেদিকে কঠোর নজরদারির আহ্বান ব্যবসায়ীদের। সরাকর এ পর্যন্ত বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য ছয় লাখ চালের অনুমতি দিয়েছে। এই আমদানির অনুমতি পর্যায়ক্রমে আরও বাড়তে থাকবে বলে জানা গেছে। আমনের ভরা মৌসুমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গেল মাসে বেসরকারি খাতে চাল আমদানি উন্মুক্ত করে দেয় সরকার। এজন্য আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানি থেকে বাজারজাত পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য জানানোর শর্তে দেওয়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি। এর পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে সরকার আমদানি করছে আরও চার লাখ টন চাল। সরকারের এমন উদ্যোগের প্রভাব খুঁজতে মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষি মার্কেট গিয়ে দেখা গেল, ইতোমধ্যেই ঢুকতে শুরু করেছে আমদানি করা ভারতীয় নাজিরশাইল চাল। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। যদিও মান নিয়ে সন্তুষ্ট নন পাইকাররা। একজন পাইকার জানালেন, শুক্রবার রাতে ভারত থেকে আমদানি করা নাজিরশাইল চাল মার্কেটে এসেছে। কিন্তু ভারতীয় চাল খুবই লো কোয়ালিটির। ওদের চালের কালার আসেনি। দামও চাচ্ছে বেশি। ৫৮ টাকা কেজি। এরচেয়ে আমাদের দেশীয় নাজিরশাইল চালের মান খুব ভালো। বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারাও কেনার ক্ষেত্রে দুই টাকা বেশি হলেও দেশীয় চালটাই কিনছেন। তারপরও পাইকাররা বলছেন, আমদানির প্রভাবেই সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে এক থেকে তিন টাকা কমেছে প্রায় সবধরনের চালের দাম। মিনিকেট প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়; আটাশ ৪৫-৪৬ টাকা; আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৯-৪০ টাকা কেজি দরে। একজন ব্যবসায়ী বলেন, এখন মিল মালিকরা চাল চাইলেই দু-তিনদিনের মধ্যেই পাঠিয়ে দিচ্ছে। এখন আর বলে না ধান নাই। সরকার আমদানির উদ্যোগ নেওয়ায় অনেক ভালো হইছে। আমরাও চাল পাচ্ছি। যে চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন সেটা ৬০ টাকা কেজি। দাম আরও কমবে। আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সরকার আরও আগে আমদানির উদ্যোগ নিলে মিল মালিকরা এ সুযোগ নিতে পারতেন না। বাজার অনেক নিয়ন্ত্রনে থাকত। এখন আমদানি করা চাল যাতে আবার কেউ মজুত করতে না পারে সেজন্য মনিটরিং করতে হবে সরকারকে। নুরুল ইসলাম নামের একজন খুচরা বিক্রেতা জানালেন, বর্তমানে ডায়মন্ড মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। আটাশ মানভেদে ৪৮-৫২ টাকা কেজি দরে।
×