ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মির্জাপুরে গরু চোরের অত্যাচারে নিঃস্ব খামারীরা

প্রকাশিত: ১৫:২২, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

মির্জাপুরে গরু চোরের অত্যাচারে নিঃস্ব খামারীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর ॥ মির্জাপুরে গরু চুরি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গ্রামের নি:স্ব কৃষক ও প্রান্তিক খামারীরা। আজ শনিবার সকাল ১১টায় মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের উয়ার্শী দেওলীপাড়া খৈলসিন্দুর হালুয়াপাড়া ও রুয়াইল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক খামারীরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক উয়ার্শী গ্রামের বাসিন্দা মো. শরীফুল ইসলাম খান। অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী প্রান্তিক গরু খামারী ও কৃষক ছাড়াও এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উয়ার্শী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফরহাদ আলী খান শাহীন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইদুর রহমান খান সুফল, লায়ন নজরুল ইসলাম খান কলেজের প্রভাষক এনায়েত হোসেন খান, উয়ার্শী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খান ছিটু, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম খান প্রমুখ গণ্যমান্য লোক। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী খামারী ও কৃষকরা অধিকাংশই বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গরু কিনে লালন-পালন করেছেন। কিন্তু চোরের দল গোয়ালের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন সময় রাতের আঁধারে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানযোগে কমপক্ষে ৪২টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ টাকা। একমাত্র সম্পদ গোয়ালের গরু চুরি করে নেয়ায় তারা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন। উয়ার্শী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মির্জাপুর থানা পুলিশকে জানিয়েও এ গরু চুরিরোধে কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে তারা অভিযোগ করেন। উয়ার্শী গ্রামের বাসিন্দা বাবর খান বাবু অগ্রণী ব্যাংক ও প্রয়াস এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান জাতের দুইটি গাভী ক্রয় করে লালন-পালন করেন। কিন্তু চোরের দল রাতের আঁধারে তার দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের বড় দুইটি গাভী চুরি করে নিয়ে যায়। এখন সে ঋণের বোঝা নিয়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। একই অভিযোগ করেন উয়ার্শী গ্রামের রেহেনা আক্তার ও রোয়াইল গ্রামের সমর সিকাদার। সম্প্রতি এভাবে ২১ পবিারের ৪২টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। গ্রামের প্রান্তিক গরু খামারী ও কৃষকরা জানান, নিয়মিত ট্যাক্স আদায় করলেও গরু চুরি রোধে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এছাড়া এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশও কোন ভূমিকা পালন করছেন না বলে তারা উল্লেখ করেন। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক শেখ দিপু জানান, ভুক্তভোগীরা গরু চুরি বিষয়ে শনিবার থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। গরু চুরিরোধে পুলিশ টহল ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশ দিয়ে টহলের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের লাঠি টর্চলাইট ও বাঁশি সরবরাহ করা হবে। ওই এলাকায় আর একটি গরুও চুরি হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×