অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরানের নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে এগুলো ইরানের সামরিক সক্ষমতায় নয়া শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরআলী হাজিজাদে একথা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি তিনি মহানবী (সা.)-১৫ নামক সামরিক মহড়ার প্রথম পর্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রথম পর্বের মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও কমব্যাট ড্রোনের সক্ষমতা সাফল্যের সঙ্গে পরীক্ষা করা হয়েছে।
জেনারেল হাজিজাদে বলেন, এ মহড়ায় শত্রুর কল্পিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রথমে ড্রোন থেকে এবং পরে ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আঘাত হানা হয়। এতে শত্রুর অবস্থানগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, ইরানের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে।
আইআরজিসি'র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের 'মহানবী (স.)-১৫' মহড়ার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় 'কাভিরে মারকাজি' মরুভূমিতে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। মহড়ায় অসংখ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে গোটা মরুভূমি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মহড়ায় বহু বোমারু ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রে নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যায় কল্পিত শত্রুর নানা লক্ষ্যবস্তু।