নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, সমাজের অনাচার ও ডিজিটাল ভায়োলেন্স রোধে সন্তানদের লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণের প্রতিও সমান মনেযোগ দিতে হবে। আওয়ামীমীলীগ সরকার মাদক এবং সন্ত্রাসকে জিরো টলারেন্স হিসাবে ঘোষণা দিয়ে তা নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে এবং আইন করে নারীর প্রতি ডিজিটাল ভায়োলেন্স কমাতে সক্ষম হয়েছে। মন্ত্রী রাসেল শুক্রবার রাতে টঙ্গী মরকুন টিএন্ডটি গেট মাঠে মরকুন টিএন্ডটি বাজার ও নতুন বাজার এলাকা সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন উপলক্ষে মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং ও নারীর প্রতি ডিজিটাল ভায়োলেন্স বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাদেক আলী। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির পিপিএম। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশরাফ-উল-ইসলাম পিপিএম এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মামুন-অর-রশিদ,টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আমিনুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আসাদুর রহমান কিরণ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, অবিভক্ত টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক রজব আলী, গাজীপুর মহানগর কৃষকলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন হেলাল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন মোল্লা, কাজী মঞ্জুর, মশিউর রহমান সরকার বাবু, মাজহারুল ইসলাম দীপু, আওয়ামীলীগ নেতা নূর নবী আনসারী নবীন, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মোস্তফা কামাল, শহীদুল ইসলাম রতন, হাজী ইসমাইল হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ। মন্ত্রী রাসেল আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোন দল নেই, কোন ধর্ম নেই। এদেরকে আমরা সমাজে স্থান দিতে পারি না, এরা সমাজের শত্রু। যারা সমাজকে মাদকের অভয়ারণ্য করতে চায় সকলের উচিত তাদেরকে বয়কট করা। তাদেরকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা। তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের খেলাধুলায় অভ্যস্ত করে তুলুন, তারা অপরাধে জড়ানোর সুযোগ পাবে না। খেলাধুলায় শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে এবং তারা অপরাধ প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, আমাদেরকে জয়বাংলার শপথ নিতে হবে। জয় বাংলা দর্শনকে যেন আমরা কর্ম সম্পাদনের সকল সময়ে স্মরণ রাখি। আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট ও বিধি বিধান যদি আমরা নির্ধারণ করতে পারি তাহলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো।