ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টারপোলের রেড নোটিসে দুই মানব পাচারকারী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১৫ জানুয়ারি ২০২১

ইন্টারপোলের রেড নোটিসে দুই মানব পাচারকারী গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক ॥ লিবিয়ায় মানবপাচার মামলার যে ছয় পলাতক আসামির সন্ধান চেয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি হয়েছিল, তাদের মধ্যে দুজন গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মাদারীপুরের শাহাদাত হোসেনকে (২৯) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন। আর কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবাল (৩৮) ধরা পড়েছেন ইতালি পুলিশের হাতে। সেখান থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) বিষয়টি জানানো হয়েছে। উপ-কমিশনার শহীদুল্লাহ শুক্রবার বলেন, এক নারীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে দক্ষিণখান থানায় শাহাদাতের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। সে মামলায় কয়েকদিন আগে শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। “এই শাহাদাত হোসেনের নামেই যে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে, তা প্রথমে জানা ছিল না। বিষয়টি পরে বুঝতে পেরেছি আমরা।” ইন্টারপোলের সঙ্গে ঢাকায় কাজ করা বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক মহিউল ইসলাম বলেন, ইতালি পুলিশের এনসিবি ১০ জানুয়ারি এক চিঠিতে জাফরকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানিয়েছে। ইতালির কোসেঞ্জা শহরে জাফরের গ্রেফতারের কথা বলা হলেও তবে তাকে গ্রেফতার ধরা হয়েছে, তা চিঠিতে জানানো হয়নি। জাফরকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে মহিউল ইসলাম বলেন, ৪০ কার্যদিবসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করার কথা ইতালীয় পুলিশের চিঠিতে জানানো হয়েছে। গত বছর মে মাসে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানব পাচারকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশে যে মামলা হয়েছিল, শাহাদাত ও জাফর তার আসামি। তাদের পাশাপাশি মিন্টু মিয়া, স্বপন, নজরুল ইসলাম মোল্লা, ও তানজিরুল নামের আরও চারজন ‘মানব পাচারকারীকে’ ধরিয়ে দিতে সিআইডি গত নবেম্বরে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করে। লিবিয়ার মিজদাহতে বাংলাদেশিদের হত্যা, মুক্তিপণ আদায় ও নির্যাতনের ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে পল্টন ও বনানীতে তিনটি মামলা করেছিল। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও ২৩টি মামলা হয়। সিআইডি মোট ২৫টি মামলার তদন্ত করছে।
×