বিএসসি অনার্স, এমএসসি (গণিত)
সিনিয়র শিক্ষক, হলি ফ্লাওয়ার মডেল কলেজ, ঝিগাতলা ঢাকা
মোবাইল : ০১৭৭৩২২২৬০৬
‘জেনে নাও সৃজনশীল প্রশ্ন কীভাবে তৈরি হয়’
সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর চিন্তন দক্ষতার চারটি স্তর মূল্যায়ন করা। চারটি স্তর হলো- জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা। শিক্ষার্থীর এ চারটি স্তরকে মূল্যায়নের জন্য দুই ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে সৃজনশীল (রচনামূলক) প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন। গণিতের ক্ষেত্রে চারটি স্তরের স্থলে প্রয়োগ দক্ষতার তিনটি কাঠিন্য স্তর, যথা- সহজ, মধ্যমান ও কঠিন মূল্যায়ন করা হয়। এখন আমরা সৃজনশীল (রচনামূলক) ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেব।
সৃজনশীল প্রশ্ন :
সৃজনশীল প্রশ্ন কাঠামোতে প্রথমে একটি উদ্দীপক/দৃশ্যকল্প থাকে। গণিতের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োগ দক্ষতার তিনটি স্তরের প্রশ্ন করা হয়। আমরা পর্যায়ক্রমে প্রশ্ন কাঠামো ও কাঠিন্যের স্তরগুলো সম্পর্কে জানব- উদ্দীপক/দৃশ্যকল্প হচ্ছে পাঠ্য বিষয়ের আলোকে তৈরি একটি অনুচ্ছেদ, সূত্র, সমীকরণ সারণি, ডায়াগ্রাম, চিত্র ইত্যাদি। সাধারণত উদ্দীপকটি হয় মৌলিক, সম্পূর্ণ নতুন এবং বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। সৃজনশীল প্রশ্নটি কতটুকু মানসম্পন্ন হলো তা মূলত উদ্দীপকের মানের ওপরই নির্ভর করে। প্রয়োগ দক্ষতা স্তরের প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে যাতে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই উদ্দীপকের সাহায্য নিতে হয়, প্রশ্ন তিনটি যেভাবেই করা হয়ে থাকে। সহজভাবে বলা যায়, উদ্দীপকটি ঢেকে রেখে যদি প্রশ্নগুলোর উত্তর করা যায় তবে বুঝতে হবে উদ্দীপকটি সঠিকভাবে প্রণীত হয়নি। ‘ক’ নম্বর প্রশ্নে প্রয়োগ দক্ষতা যাচাই করা হয়। উত্তরের মান ২ ‘খ’ নম্বর প্রশ্নে প্রয়োগ দক্ষতা যাচাই করা হয়। এটি মোটামুটি কঠিন প্রশ্ন। দৃশ্যকল্প অথবা দৃশ্যকল্পসহ ‘ক’ নম্বর প্রশ্ন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে সূত্র প্রয়োগে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এটির উত্তর করতে হয়। উত্তরের মান ৪ ‘গ’ নম্বর প্রশ্নেও প্রয়োগ দক্ষতা যাচাই করা হয়। এটি প্রশ্নের সবচেয়ে কঠিন অংশ। এ স্তরে প্রদত্ত তথ্যের আলোকে নতুন পরিস্থিতিতে সূত্র প্রয়োগ এবং তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে উত্তর করতে হয়। উত্তরের মান ৪।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন :
কাঠামোগত দিক থেকে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ৩ ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো-
১. সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন।
২. বহুপদী সমাপ্তিসূচক অংশ।
৩. অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন
প্রতিটি বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তরের মান ১। গণিতে সৃজনশীল প্রশ্নের মতো বহুনির্বাচনী প্রশ্নও প্রয়োগ দক্ষতা যাচাই উপযোগী। প্রশ্নসমূহের মাধ্যমে প্রয়োগ দক্ষতার কাঠিন্য স্তর (সহজ, মধ্যমমান ও কঠিন) যাচাই করা হবে। প্রশ্নসমূহের মধ্যে সহজ স্তরের ৩০%, মধ্যমমান স্তরের ৫০% এবং কঠিন স্তরের ২০% প্রশ্ন হবে।
সাধারণ বহুনির্বাচনী : প্রশ্নগুলো সাধারণত প্রশ্নবোধক বাক্যের আকার হয়ে থাকে। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি বিকল্প উত্তর থাকে। যার মধ্যে একটিই সঠিক উত্তর থাকে। বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নগুলো সব সময় অসম্পূর্ণ বাক্যের আকারে থাকে। অর্থাৎ এ প্রশ্নের শেষে কখনও প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয় না। বিকল্প উত্তরগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক সঠিক উত্তর থাকে। অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে একটি উদ্দীপকের ওপর ভিত্তি করে একাধিক প্রশ্ন তৈরি করা হয়। এ জাতীয় প্রশ্নে সাধারণ বহুনির্বাচনী বা বহুপদী সমাপ্তিসূচক যে কোনো রকমের প্রশ্নই হয়ে থাকে। অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্নে উদ্দীপকের সাহায্য ছাড়া প্রশ্নগুলোর উত্তর করা যায় না।
অধ্যায়-০১
সেট ও ফাংশন
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু পর্যালোচনা :
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি পাঠ্যবইয়ের ধারাবাহিকতায় নিচে উপস্থাপন করা হলো। তোমরা এ তথ্যগুলোর ওপর বিস্তারিত ধারণা নিয়ে চৎধপঃরপব করলে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে।
এক নজরে অধ্যায় (০১) এর ব্যবহৃত প্রতীকসমূহ
২ =উপসেট (ংঁনংবঃ);
যেমন অ ই (অ ংঁনংবঃ ই);
= প্রকৃত উপসেট।
২ = উপসেট নয় (হড়ঃ ংঁনংবঃ); যেমন, অ ই (অ হড়ঃ ংঁনংবঃ ই);
= প্রকৃত উপসেট নয়।
২ =এটিতে বিদ্যমান (ইবষড়হমং ঃড়);
যেমন, ী অ (ী নবষড়হমং ঃড় অ)
২ = এটিতে বিদ্যামান নয় (ঘড়ঃ নবষড়হমং ঃড়)
যেমন, ী অ (ী হড়ঃ নবষড়হমং ঃড় অ)
২ = সংযোগ (টহরড়হ),
যেমন, অ ই ( অ ঁহরড়হ ই)
২:= যেন (ঝঁপয ঃযধঃ) যেমন, ঝ={ী:ী (ী ংঁপয ঃযধঃ ী) বাংলাদেশের একটি বিভাগ}
২ = ছেদ (ওহঃবৎংপপঃরড়হ); যেমন, অ ই (অ রহঃবৎংবপঃরড়হ ই)
২ ফাঁকা সেটকে {} বা, ডেনিশ অক্ষর ঙ (ওরি) প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
২অ॥ই কে ‘ অ বাদ ই’ পড়া হয়। একে অ-ই প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
২ স্বাভাবিক সংখ্যার সেট
ঘ= {১,২,৩.......}
২ পূর্ণসংখ্যার সেট ত= { ...-৩,-২,-১,০,১,২,৩...}={০, ক্ট১, ক্ট২, ক্ট৩...}.