ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেই গোল নেইমারের

ফরাসী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২১

ফরাসী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন বছরে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে ফরাসী জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। যদিও ম্যাচটি ২০২০ সালের। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেটা কিছুদিন পিছিয়ে হয়েছে নতুন বছরে। আসরটির নাম ফরাসী সুপার কাপ। কিন্তু এটিকে এখন বলা হয়ে থাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বুধবার রাতে ফ্রান্সের লেন্সে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পিএসজির প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অলিম্পিক মার্শেই। ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে ট্রফি জয়ের উল্লাস করেছে পিএসজি। দলটির নতুন কোচ মরিসিও পোচেত্তিনোর অধীনে এটি প্যারিসের পরাশক্তিদের প্রথম শিরোপা। শুধু তাই নয়, আর্জেন্টাইন এই কোচের কোচিং ক্যারিয়ারেও এটি প্রথম ট্রফি জয়। আর প্রায় একমাসের চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই গোল করেছেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। নিয়ম অনুযায়ী ফরাসী লীগ ওয়ান ও ফরাসী কাপের চ্যাম্পিয়ন দলের মধ্যে ফরাসী সুপার কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি প্রতি বছর হয়ে থাকে। কিন্তু গত মৌসুমে দুটি শিরোপাই জয় করেছিল পিএসজি। যে কারণে লীগ ওয়ানের রানার্সআপ হিসেবে মার্শেই এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলেছে। ম্যাচটি উপভোগ্য হওয়ার আশা করেছিলেন অনেকেই। কেননা দু’দলের সর্বশেষ লড়াইটি ছিল উত্তেজনায় ঠাসা ও মারামরিতে ভরপুর। গত সেপ্টেম্বরে লীগ ওয়ানের ম্যাচে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মার্শেই। ওই ম্যাচে দু’দলের পাঁচজন লালকার্ড দেখেছিলেন। ইনজুরি সময়ের একটি ঘটনায় লালকার্ড পাওয়া সব খেলোয়াড়দের মধ্যে নেইমারও ছিলেন। ম্যাচশেষে মার্শেই সেন্টারব্যাক আলভারো গঞ্জালেসের বিরুদ্ধে নেইমারকে জড়িয়ে বর্ণবাদের অভিযোগও উঠেছিল। ওই ম্যাচটির পর এই প্রথম দু’দল মুখোমুখি হওয়ায় জমজমাট লড়াইয়ে আশা করেছিলেন সবাই। আদতে সেটা হয়নি। অনেকটা একতরফা খেলে শেষ হাসি হেসেছে পিএসজি। শুরু থেকেই মার্শেইয়ের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। ২২ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে ও লিওনার্দো পারডেসের পাস থেকে মাউরো ইকার্ডি গোল করলেও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ২৯ মিনিটে পিএসজি অধিনায়ক মারকুইনহোসের পাস থেকে এমবাপে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। অবশেষে ৩৯ মিনিটে প্রথম গোল বাদ হওয়ার আফসোস দূর করেন ইকার্ডি। এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার হেড মার্শেই গোলরক্ষক স্টিভেন মানডানডা ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে গোল করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময় আবারও দুর্ভাগ্যের শিকার হন ইকার্ডি। এবার তার বাম পায়ের শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। বিরতির পর ৬৫ মিনিটে ডি মারিয়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন নেইমার। এরপর ৮৫ মিনিটে মার্শেইর বদলি গোলরক্ষক ইয়োহান পেলে ইকার্ডিকে ডি বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। স্পট কিক থেকে গোল করে পিএসজির ট্রফি নিশ্চিত করেন নেইমার। ম্যাচশেষের এক মিনিট আগে ফরাসী মিডফিল্ডার ডিমিট্টি পায়েট মার্শেইয়ের হয়ে এক গোল পরিশোধ করলেও দলের হার এড়াতে পারেননি।
×