ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ২৩:০০, ১৫ জানুয়ারি ২০২১

ঝলক

নদীর তীরে মোহর ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজগড় এলাকায় নদীর পাড়ে খোঁড়াখুঁড়ি করলেই পাওয়া যাচ্ছে সোনা ও রূপার মুদ্রা। স্থানীয় পার্বতী নদীর তীরবর্তী এলাকায় রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করতে শুরু করেছেন বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ। নদীর মাটি খোঁড়ার কাজও চলছে দিনরাত। যদিও গুজবের জেরে এই ঘটনা ঘটছে বলে দাবি প্রশাসনের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে পার্বতী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তীর থেকে পুরনো কিছু মুদ্রা খুঁজে পেয়েছিলেন রাজগড় এলাকার শিবপুরা ও গরুড়পুরার মৎস্যজীবীরা। ওই মুদ্রাগুলো মোগল আমলের বলে জল্পনা শুরু হয়। এদিকে এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই পার্বতী নদীর পাড়ে দলে দলে লোক জমে যায়। শুরু হয় নদীর পাড়ে মাটি খোঁড়ার কাজ। খবর পেয়ে ভুপাল শহর থেকে ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই এলাকায় আসতে শুরু করেন অন্য এলাকার লোকও। এখনও সেখানে লোকজন এসে মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন খোঁজার চেষ্টা করছেন। রাজগড়ের অনেক লোকের বিশ্বাস, পার্বতী নদীর পাড়ে অবস্থিত ওই এলাকায় পুরনো কোন গুপ্তধন রয়েছে। কয়েকজন মৎস্যজীবী তার খুবই সামান্য অংশ হাতে পেয়েছেন। যদি ঠিকঠাক জায়গার মাটি খোঁড়া হয় তাহলে প্রচুর ধনসম্পত্তি পাওয়া যাবে। তাই যতদিন যাচ্ছে ওই এলাকায় মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। রাজগড়ের পুলিশ সুপার প্রদীপ শর্মা বলেন, ওই এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোন অবনতি না হয় তার জন্য কঠোর নজরদারি চালাচ্ছি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টাও খেয়াল রাখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মৎস্যজীবীরা যে প্রাচীন মুদ্রাগুলো পেয়েছেন সেগুলো ব্রোঞ্জের। ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো মোগল আমলের মুদ্রা। -রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড শুধু কেক খেয়েই বেসামাল যুক্তরাষ্ট্রের নিক কারসন (৬২) খুবই উদ্বেগজনক অবস্থার সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছেন। তিনি এমন এক রোগে ভুগছেন, যাতে এ্যালকোহল না স্পর্শ করেও রীতিমতো মাতাল হয়ে পড়ছেন। নিক যে রোগে ভুগছেন তার নাম অটো ব্রোয়ারি সিন্ড্রোম। এতে যখনই কোন ব্যক্তি কেক বা কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ কোন কিছু খান, তখন দেখে মনে হয় সেই ব্যক্তি প্রচুর এ্যালকোহল পান করেছেন। এই রোগে নিকের শরীর শর্করাকে এ্যালকোহলে রূপান্তরিত করে, যার জেরে কোন পানীয় ছাড়াই নেশা হয়ে যায়। এটিকে অনেক ব্যক্তি দারুণ সুবিধাজনক মনে করলেও আসলে বিষয়টা কিন্তু মোটেই সুবিধার না। কারণ, এই রোগের জেরে নিক কারসন যাই খাচ্ছেন না কেন, বিশেষ করে কেক বা অন্য কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলেই মারাত্মকভাবে বেসামাল হয়ে পড়ছেন। জানা গেছে, ২০ বছর আগে, নিক এক ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। যার জেরে তখন থেকেই ধীরে ধীরে এমন অবস্থা হয়ে গেছে নিকের। পরিস্থিতি এমন যে, নিককে এখন সবসময়ই ব্রেথ এ্যানালাইজার নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। কারণ তিনি যে কোন সময় মাতাল হয়ে পড়বেন, তা তিনি নিজেও জানেন না। শুধু কেক খাওয়া না, নিক যদি সামান্য পরিমাণেও চিনি বা শর্করা জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন তাতেও তিনি নেশায় বেসামাল হয়ে পড়েন। এই কারণে নিক খুব বুঝে ডায়েট করেন। এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম থাকে ও প্রোটিন এবং ফ্যাটের পরিমাণ থাকে খুব বেশি। নিক বলেন, অন্য লোকেরা আমার এই রোগ নিয়ে যথেষ্ট মজা করে। কিন্তু আমি শুধু খাবার খেয়েই যে মাতাল হয়ে যাই, এটা আমার পক্ষে মোটেও ভাল নয়। কারণ, এর জন্য আমি আমার অনেক প্রিয় খাবার খেতে পারি না। তবে নিক জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। -ইন্ডিয়া টাইমস
×