ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাসন ক্ষমতার এক যুগ ॥ পাল্টে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প

প্রকাশিত: ২১:১২, ১৫ জানুয়ারি ২০২১

শাসন ক্ষমতার এক যুগ ॥ পাল্টে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার টানা একযুগ ক্ষমতায় থাকার যুগান্তকারী মাইলফলক অর্জন করেছে। এদেশে সামরিক কিংবা বেসামরিক কোন সরকারেরই টানা এক যুগ ক্ষমতায় থাকার কোন রেকর্ড নেই। এই প্রথম দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সেই রেকর্ড অর্জন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব এবং দেশের মানুষের আকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার ‘দিন বদলের সনদ রূপকল্প-২০২১’ এর প্রতি আস্থা রেখে দেশের জনগণ নিরঙ্কুশভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে। একইভাবে ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা মার্কার প্রতি রায় প্রদান করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চলমান অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখে এদেশের জনগণ। এই এক যুগ পূর্তির মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চতুর্থ সরকার তার দুই বছর মেয়াদও পূরণ করল। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে উন্নয়ন অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে দেশ। ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব সভায় উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সূচকেই দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকে ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে অগ্রগতির অভূতপূর্ব স্মারক বহন করছে দেশ। করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের বুকে আজ বিশেষভাবে অনুকরণীয় রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় এখন গতিময় দেশ বাংলাদেশ। পুরো এশিয়ায় তার অবস্থান প্রথম দিকেই। সারা বিশ্বেও তার অবস্থান প্রথম পাঁচ-ছয়টি দেশের মধ্যে। এ যাবত যে পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার ৭৩ শতাংশই হয়েছে ২০০৯ সালের পর। গত ১২ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। দ্য ইকোনমিস্ট-এর ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯ম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীতে যখন প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলোর ধরাশায়ী অবস্থা, তখন বাংলাদেশের মতো একটি জনাকীর্ণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে নাস্তানাবুদ হওয়া দেশের অর্থনীতি ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। করোনার মধ্যেও রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও দারুণ গতিতে আসছে রেমিটেন্স। আগের যে কোন সময়ের তুলনায় এখন রেমিটেন্স প্রবাহ সবচেয়ে বেশি। আনন্দের বার্তা আসছে রিজার্ভের ক্ষেত্রেও। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে গত এক বছরে বিশ্ব ব্যবস্থা টালমাটাল। করোনায় প্রভাবিত পুরো বিশে^র উন্নয়ন, অর্থনীতি এমনকি রাজনৈতিক পরিস্থিতিও। এমনি শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাওয়ার গল্পই বুনছে বাংলাদেশ। আর এগিয়ে যাওয়ার গল্পের কারিগর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারের যুগপূর্তি আসন্ন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামী লীগ। এ যুগপূর্তি আর বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে নানাভাবে মূল্যায়ন করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ আজ নব-পরিচয়ে পরিচিতি পাচ্ছে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে ইতিবাচক অবস্থা তুলে ধরছে বিশ্ব সংস্থাগুলোও। ধারাবাহিক নেতৃত্বের ফলে আওয়ামী লীগ সরকার আজ যেমন শক্ত অবস্থানে, তেমনি সরকার এবং দলের মধ্যেও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা। সুদিনে সবাইকে পাশে নিয়ে আর দুর্দিনে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বন্ধুর পথে এগিয়ে চলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এক সময় যে বামপন্থি, ডানপন্থি নেতৃত্ব বা সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় ছিল, তারা এ দলের জোটে বা বলয়ে ভিড়েছে শেখ হাসিনারই রাজনৈতিক বিচক্ষণতায়। ইস্পাতসম মনোবল আর শত চ্যালেঞ্জ পায়ে মাড়িয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচয় করিয়ে সামনে এগোচ্ছেন তিনি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করে চলছেন, তেমনি ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সমুদ্র সীমানার বিরোধেরও নিষ্পত্তি টেনেছেন শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতের এক রায়ে, বাংলাদেশ নতুন প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পায়। এটা ছিল শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার ফসল। আর আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় চুক্তিকে অন্যতম কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্যে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার যে কোন দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়েও এমন সূচক এখন উদাহরণ হয়ে আসছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অহেতুক অভিযোগ তুলে এ প্রকল্প থেকে পিছু হটে যাওয়া বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ তার উন্নয়নমুখী অর্থনীতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তার ফলাফল হিসেবে দেশটি মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে অনেক আগেই। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে গেছে দেশটির সমাজ ব্যবস্থা। লৈঙ্গিক সমতা বিধান এবং নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল হয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার মাধ্যমে দেশটির সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করার পথ সুগম করা হয়েছে- যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে বিরল। বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এটুআই নামের একটি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তিভিত্তিক ক্ষুদ্র বা মাঝারি ধরনের ব্যবসায়িক উদ্যোগ ক্রমেই দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বস্ত গন্তব্য হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্ব নেতারা যেমন বাংলাদেশকে বিশেষ স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তেমনি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলা এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নেও শেখ হাসিনাকে আপোসহীন নেতা হিসেবে মূল্যায়ন করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতিকরা। বাংলাদেশের প্রশংসায় বিশ্ব মহলও। বাংলাদেশ যে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, খোদ সেই দেশটিরই এক উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উদ্দেশে সেদেশের বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘অন্য কোন দেশের উদাহরণ দিয়ে লাভ নেই, পাকিস্তানের উচিত প্রথমে বাংলাদেশ হওয়ার চেষ্টা করা। তা হতে কমপক্ষে ১০ বছর সময় লাগবে।’ এক যুগের রাজনীতি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে কোন সরকারের এই যুগপূর্তির সময়টা উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। এদিন টানা দুই বছরের ছদ্ম সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকার শপথ নেয়। দেশবাসী হাফ ছেড়ে বাঁচে। এর এক সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত হয় বহুল আলোচিত নবম সংসদ নির্বাচন। ভূমিধস জয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে এক কথায় উড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে ১৯৭৩ সালের পর সংসদ নির্বাচনে এত ব্যবধানে জয় পায়নি কোন দল। এরপর আরও দুটি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর একটি এরতরফা এবং একটি নিয়ে বিরোধী পক্ষে বিস্তর অভিযোগ। তবে ক্ষমতার পরিবর্তন আর হয়নি। সেই হিসেবে ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা ১২ বছর বলা যায়। এই ১২ বছরে বাংলাদেশ পাল্টে গেছে অনেকটাই। অর্থনৈতিক ভিত মজবুতের বিষয়টি উঠে আসছে নানা তথ্য পরিসংখ্যানে। বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি উঁচুতে। তবে রাজনীতি নিয়ে কথা থেকে যায়। প্রধান দুই মেরুর মধ্যে আগে থেকে যে দূরত্ব, তা এই এক যুগে পাল্টায়নি এতটুকুও। দুই পক্ষই অনড়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে সবচেয়ে বেশি একটানা ক্ষমতায় ছিলেন শুধু সেনা শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি টিকে ছিলেন নয় বছরের মতো। এরশাদ সরকারের এই ক্ষমতায় থাকার বছরগুলো ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ। আন্দোলন মোকাবিলা করে চলতে হয়েছে সে সময়ের অ-গণতান্ত্রিক সরকারকে। আর দেশের উন্নয়নেও তার প্রভাব পড়ে। কিছু রাস্তাঘাট উন্নয়ন ছাড়া টানা এক সরকার থাকার সুফল পায়নি দেশবাসী। নয় বছরে পাঁচ শতাংশ বাড়ে দারিদ্র্যের হার। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়ে। সেই দিক থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য প্রশ্নাতীত। এই এক যুগে দেশের নিম্ন আয় থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ হয়েছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের শর্ত পূরণ হয়েছে। এই উত্তরণের বিষয়টি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ভিশন-২০২১ এ উল্লেখ ছিল। গত এক যুগে বিরোধী পক্ষকে রাজনীতির মাঠে অনেকটাই কোণঠাসা করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে ২০১৪ সালে দশম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহালের দাবিতে বর্জন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এর আগেও একতরফা নির্বাচন বাংলাদেশ দেখেছে দুটি। ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আমলে এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকারের আমলে। তবে ওই দুটি সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারলেও বিরোধীদের বর্জনের মুখে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার তার মেয়াদ পূরণ করেছে। এই সময়ে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে শূন্যতা। দুই বার সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমে ব্যর্থ হয়েছে জাতিয়াতাবাদী এই দলটি। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বড় জয় পায় আওয়ামী লীগ। যদিও এ নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা। তবে তা রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলেনি। গত একযুগে দেশের রাজনীতিতে আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো জাতীয় পার্টির প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় আসা। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় দশম সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় দেখা যায় জাতীয় পার্টিকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সে ধারা অব্যাহত থাকে। (চলবে) ১৪ জানুয়ারি, ২০২১
×