ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জবি প্রক্টরের সাহসী উদ্যোগে পাঠাগার মুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

জবি প্রক্টরের সাহসী উদ্যোগে পাঠাগার মুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

জবি সংবাদদাতা ॥ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা সুবিধার্থে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের উদ্যোগে ‘উন্মুক্ত পাঠাগারে’ বইমুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে দেশের প্রায় সব পাবলিক বিদ্যালয়েগুলোর শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ আছে। করোনায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ হয়েছিল। তবে করোনার পরবর্তীকালী শিক্ষার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যতীক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ২৩শে এপ্রিল যে ‘উম্মক্ত পাঠাগার’ চালু করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা সুবিধার জন্য বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের অনুরোধে মাননীয় উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান গত ১১ই সেপ্টেম্বর সেই ‘উম্মক্ত পাঠাগার’ খুলে দেয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থবিধি মেনে পাঠাগারে পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে অচল শিক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মাননীয় উপাচার্যকে অনুরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তাফা কামাল। দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে আাসা শিক্ষার্থীদের আগামী পরীক্ষাগুলোতে যাতে সমস্যা না হয়, এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, প্রক্টর ও ছাত্রলীগ নেতাদের সহযোগিতার উম্মুক্ত পাঠাগারে পড়াশুনার পরিবেশ তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করে যারা পরিচয়হীন, তারাও এখন ‘উম্মক্ত পাঠাগারে’ পড়াশুনা করে মনোযোগী হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, করোনার কারণে আমাদের ক্যাম্পাস বন্ধ। আমাদের ছেলেরা বেশির ভাগ মেসে থাকে, তাদের পড়াশুনাও হচ্ছে না, মানসিকভাবে আবসাদগ্রস্থ হয়ে গেছে। এজন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে উম্মক্ত লাইব্রেরি খুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে পড়াশুনা করতে পারে। সামনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আছে, ঐভাবে প্রস্তুত করতে পারে এবং ভালো ফলাফল করতে পারে,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ও নিজেদের জন্য। এতে করে পড়াশুনার মধ্যে থাকলে তাদের সবকিছুই ভালো থাকবে। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদেরও পাঠাগার আছে, যেখানে বই নিয়ে যাওয়া যায় না, কিন্তু আমাদের উম্মুক্ত পাঠাগারে ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজন মতো বই নিয়ে আসতে পারবে। এজন্য মাননীয় উপাচার্য স্যার উদ্যোগ নিয়েছেন উম্মক্ত পাঠাগারে ছাত্রছাত্রীরা এসে পড়তে পারে। উল্লেখ্য, এভাবে উম্মক্ত পাঠাগারে পড়াশুনা করতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন।
×