ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রীর সাপোর্ট থাকায় নৌকা প্রতীকে প্রচার চালাতে পারছি ॥ কাদের মির্জা

প্রকাশিত: ২৩:২২, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

নেত্রীর সাপোর্ট থাকায় নৌকা প্রতীকে প্রচার চালাতে পারছি ॥ কাদের মির্জা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১৩ জানুয়ারি ॥ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার দিনভর বিভিন্ন ওয়ার্ডে পথসভা চালিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা। শেষ বিকেলে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মওদুদ আহমদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কর্মীসমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাদের মির্জা দুর্নীতিবাজদের কঠোর সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি এখনও পর্যন্ত নেত্রীর সাপোর্ট থাকায় নৌকার প্রতীক নিয়ে প্রচার চালিয়ে যেতে পারছেন বলে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তিনি অনেক সত্য কথা বলতে পারেন না। তিনি ন্যায়-নীতির সঙ্গে কাজ করেন। তিনি আমাকে কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি করেননি বরং তিনি তুমি তোমার ভোটের কাজ চালিয়ে যাও বলে নীতির কথা বলেন। আমার কথা বলার উদ্দেশ্য হলো নোয়াখালী অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ও নোয়াখালী রাজনীতির আমূল পরিবর্তন আনা এ অঞ্চলের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান বেলায়েতসহ দলের ত্যাগী নেতৃবৃন্দের পক্ষে সম্ভব। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, আমাদের এলাকার নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার গতকাল আসার কথা ছিল কিন্তু তিনি কেন আসেন নাই এ নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে। তারা যেকোনভাবে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যতই নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করুক আপনারা কঠোরভাবে এর প্রতিবাদ করবেন। নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চতুর্থবারের মতো মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের দিন কোন গণ্ডগোল হলে এর প্রথম দায় নিতে হবে প্রশাসনকে। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক কর্মিসভায়ও তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ভোটকে বিতর্কিত করার নানা ধরনের অপতৎপরতা চলছে। ইতোমধ্যে এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র আনা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ডাঃ মিলনকে হত্যা করে জাসদ আন্দোলনকে যেমনি চাঙ্গা করেছিল, তেমনি এখানেও আওয়ামী লীগ-বিএনপি অথবা জামায়াতের কাউকে হত্যা করে শান্ত পরিবেশ অশান্ত করে ভোটকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কাদের মির্জা বলেন, ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে ‘আইচালি-বাইচালি’ করার দরকার নেই। আমি নেতা, এরকম ভাব দেখানোর দরকার নেই। নিজে ভোট দিয়ে শুধু কিভাবে ভোটাররা ভোট দিতে আসতে পারে, সে চেষ্টা করতে হবে। কোথায় কোন সমস্যা হলে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত না হয়ে আমাকে জানাবেন। আমি সেটির বিচার করব। কর্মিসভায় দলের কয়েকজন নেতার সমালোচনা করেন এই মেয়র প্রার্থী। তিনি বলেন, তারা বলে আমি তাদের সমালোচনা করি কিন্তু আমি যে সবসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও ভাল অর্জনের কথা বলি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কথা বলি, সেগুলো তারা বলে না। আমাদের দলের কিছু নেতা আছে যারা টাকা খেয়ে এমন প্রার্থী নমিনেশন দেয় যারা এলাকায় ১৬ ভোটের বেশি পায় না। এমন ধরনের অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারা তা সম্ভব। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ারও সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, তিনি তো ঘরে ঢুকে গেছেন। তার ছেলে তারেক রহমান চাকরি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ যত অপকর্ম করেছেন, আমাদের দলের অনেকেই তার মতো করছেন। তারেক রহমান দেশের কি পরিবর্তন আনবেন? আমি ইচ্ছা করলে নির্বাচনী প্রচারণায় আমার গাড়িতে লাগানো মাইকে আমার কথা বলতে পারতাম কিন্তু আমি তা না করে মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো বাজাই। কারণ এ গান যতবার শুনি ততবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হই। কর্মিসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
×