ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে পরকীয়ার জেরে রিক্সাচালক হত্যা

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

মানিকগঞ্জে পরকীয়ার জেরে রিক্সাচালক হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ১৩ জানুয়ারি ॥ মানিকগঞ্জে রিক্সাচালক ঈদ্রিস আলী (৫০) হত্যার মামলার আসামি ড্রেজার ব্যবসায়ী মোঃ ফরহাদ হোসেন (৪৫) আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। ফরহাদ স্থানীয় চর বেউথা এলাকার মৃত আঃ মোতালেব হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে মানিকগঞ্জ ৪নং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ আহমেদের আদালতে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে রিক্সাচালককে হত্যা করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও প্রযুক্তি ব্যবহারে শনাক্ত করে ঘটনার ছয়দিনের মাথায় কিলার ফরহাদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ টুটুল উদ্দিন জানান, রিক্সাচালক ঈদ্রিস আলীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল ড্রেজার ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের। একাধিকবার ফরহাদের সঙ্গে নিহত রিক্সাচালকের স্ত্রীর অবৈধ মেলামেশার ঘটনা হাতে নাতে ধরেন ঈদ্রিস আলী নিজেই। এরপর থেকে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। গত ৪ জানুয়ারি রাতে পরিকল্পিতভাবে ঈদ্রিস আলীকে চর বেউথার পার্শ¦বর্তী আন্ধারমানিক গ্রামের নির্জনস্থানে নিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ফরহাদ নিজের চারজন প্রতিপক্ষের মোবাইল নম্বর ঈদ্রিস আলীর পকেটে রেখে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিলার ফরহাদ ও তার এক সহযোগী মিলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটায়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। কিলার ফরহাদ খুন করার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ করে নেয়। ফরহাদের সঙ্গে স্থানীয় চার ইয়াবা কারবারির সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাদের ফাঁসাতে চারজনের মোবাইল নম্বর নিহত রিক্সা চালকের পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ওই এলাকার রাস্তার পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ছয়দিনের মাথায় কিলার ফরহাদকে ধরতে সক্ষম হয়। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামি শনাক্ত ও মামলার রহস্য উন্মোচনে সরাসরি নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)ভাস্কর সাহা, পিপিএম। রিক্সাচালক ঈদ্রিস আলী হত্যার ঘটনায় ছেলে নয়ন হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
×