ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাজিলে চীনের সিনোভ্যাক ৫০ শতাংশ কার্যকর

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

ব্রাজিলে চীনের সিনোভ্যাক ৫০ শতাংশ কার্যকর

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ব্রাজিলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক উদ্ভাবিত কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্রাজিলের গবেষকরা। অন্যদিকে সারাবিশ্বে বুধবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯ কোটি ২৩ লাখ ১২ হাজার ৮৯২ জন। মারা গেছে ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৩৩ জন। চিকিৎসাধীন আছেন দুই কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার ১৫০ জন। যাদের মধ্যে এক লাখ ১০ হাজার ৯৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭১ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। একদিনে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৮১৬ জন। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের। যদিও এর আগে ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কে চীনা একই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ভিন্ন ফল পাওয়া গিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ওষুধ ও খাদ্যনিয়ন্ত্রক এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটিতে এ টিকার কার্যকারিতার হার ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ডব্লিউএইচওর শর্তকে পূরণ করে। সে অনুযায়ী, সিনোভ্যাক টিকার জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। গত মাসে তুর্কী গবেষকরা জানান, দেশটিতে সিনোভ্যাকের টিকা ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ কার্যকর। তবে ব্রাজিলে চালানো চূড়ান্ত দফার ট্রায়ালে এর কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা গেছে। দেশটিতে মূলত ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন ফল মিলছে। ব্রাজিলে এ ট্রায়াল চালিয়েছে বুটানটান ইনস্টিটিউট। গত সপ্তাহেও তারা দাবি করেছিল, মৃদু ও গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি ৭৮ শতাংশ কার্যকর। কিন্তু চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে ভিন্ন ফল মিলেছে। এর মধ্যেই কোম্পানির অনুরোধে পূর্ণাঙ্গ ফল স্থগিত করায় ভ্যাকসিনটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আত্মহত্যার চিন্তা আইসিইউ কর্মীদের ॥ করোনা মহামারী চলাকালে হাসপাতালের আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর প্রায় অর্ধেক কর্মী এ্যালকোহল নেয়া কিংবা আত্মঘাতী হওয়ার চিন্তাভাবনা করেছে। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ আইসিইউ কর্মী পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি), গুরুতর উদ্বেগ বা হতাশা কিংবা মদপানের মতো বিষয়ে জড়িয়েছেন। ফের মৃত্যুর রেকর্ড ॥ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। করোনা মহামারীর এক বছরে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে প্রায় ৪ হাজার পাঁচশ’ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। দেশটিতে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ৪৭০ জন। কোভিড ট্র্যাকিং প্রোজেক্ট অনুযায়ী, প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার মানুষ সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জানুয়ারিতে ৫ লাখ কানাডীয় ভ্যাকসিন পাবে ॥ কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। একটি সুষ্ঠু নীতিমালা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া চলছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, জানুয়ারির মধ্যে কানাডায় দশ লাখ ডোজ টিকা এসে পৌঁছাবে। প্রতিজনকে দুটি করে ৫ লাখ নাগরিককে জানুয়ারির মধ্যেই টিকা দেয়া যাবে। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিতের আশা ব্যক্ত করেন তিনি। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল ॥ দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে দেশের সব সীমানা পথ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন বছরের শুরুতেই ১১ দিনে দেশে ১ লাখ ৯০ হাজার লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৬ শ’ লোকের।
×