ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চসিক নির্বাচন ॥ পরিস্থিতি উত্তপ্ত

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

চসিক নির্বাচন ॥ পরিস্থিতি উত্তপ্ত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীদের চলমান প্রচারে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে পোস্টার ছেঁড়া থেকে শুরু করে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘটেছে। তবে মঙ্গলবার রাতে দুঃখজনকভাবে দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এ নির্বাচনের পূর্বে এটিই প্রাণহানির প্রথম ঘটনা। এ ঘটনা প্রশাসনের সর্বস্তরে এবং প্রধান দুটি দলের অভ্যন্তরে নাড়া দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জোরালো তৎপরতা গ্রহণ করা হয়েছে। স্পর্শকাতর ওয়ার্ড এলাকাসমূহে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৭, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৭২ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চসিক নির্বাচনে ৪১ ওয়ার্ডে মেয়র ও সাধারণ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদসমূহে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে নেমেছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে রয়েছে বিভাজন ও গ্রুপিং। কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন যথাযথ হয়নি অভিযোগ এনে সবকটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মতাদর্শের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এসব প্রার্থীদের একটি অংশ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও অপর অংশ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন সমর্থিত। নাছির সমর্থিতরা মনোনয়ন পায়নি। তাদের একটি অংশ স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন। তারাই বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চসিক নির্বাচনকে নিয়ে দলের পক্ষে একটি প্রধান নির্বাচনী সেল করা হয়েছে। এ নির্বাচনী সেল নিয়েও দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। যেহেতু এটি মহানগরীর নির্বাচন সেহেতু মহানগরীর বাইরের কেউ এসে এ ব্যাপারে নাগ গলাক তা তারা চাচ্ছেন না। উল্লেখ করা যেতে পারে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম একজন সদস্য এ নির্বাচনে শুরু থেকে ভূমিকা রেখে চলেছেন। ইতোমধ্যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন কাউন্সিলর নির্বাচনে বিদ্রোহের নামে কোন প্রার্থীকে বহিষ্কারের পথ বেছে নেয়া হবে না। যেহেতু কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য দলীয় কোন প্রতীক বরাদ্দ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে একবার বা ততোধিক মনোনীত এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের কেউ কেউ এবার মনোনয়ন পাননি। ফলে প্রতিটি ওয়ার্ডেই এখন স্বতন্ত্র হিসেবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মূলত এদেরই বিদ্রোহী নামে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের পক্ষে জানান দেয়া হচ্ছে তারা বিদ্রোহী নন, একেবারে স্বতন্ত্র। তবে তারা আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শে বিশ^াসী এবং মেয়র পদে মনোনীত প্রার্থী অর্থাৎ নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষেই ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। এ অবস্থায় বিষয়টি প্যাঁচালো রূপ নিয়েছে। এ ঘটনার কারণ হিসেবে কাউন্সিলরদের মনোনয়ন যারা চূড়ান্ত করেছেন তাদের দায়ী করা হচ্ছে। দলীয় হাইকমান্ডকে ভুল বুঝিয়ে পুরনোদের বাদ দিয়ে কিছু নতুনকে স্থান করে দেয়া হয়েছে। অনেকে বিষয়টি ন্যাক্কারজনক বলেও মন্তব্য করছেন। জনগণের মাঝে যাদের সমর্থন রয়েছে এবং নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হতে পারেন এবং কাউন্সিলর হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের বাদ দেয়াটা সঠিক হয়নি বলেও আলোচনায় এসেছে। এদিকে, নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে দফায় দফায় অভিযোগ করা হচ্ছে সরকারদলীয় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তারা এমন কোন অভিযোগ পাননি বলে বুধবার জানিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার রাতে গুলিতে এক প্রার্থীর সমর্থন নিহত হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনও নড়ে চড়ে বসেছে। সঙ্গে সিএমপি এবং প্রশাসনের অন্য সংস্থাগুলোও কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চসিক নির্বাচন এবার পরিপূর্ণভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোট কারচুপির আশঙ্কা তেমন নেই। তবে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থীর সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বার বার সংশয় ব্যক্ত করা হচ্ছে। এবারের চসিক নির্বাচন ক্রমাগতভাবে সরব হচ্ছে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের কারণে। যেহেতু প্রতি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ দল সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে বিএনপি প্রার্থী রয়েছেন। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। ত্রিমুখী প্রচারে মূলত নির্বাচনী তৎপরতা জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে জনসভা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাধারণ মানুষ খুশি। এরপরও প্রার্থীরা গণসংযোগকালে বিভিন্ন পয়েন্টে বক্তৃতা করতে গিয়ে পথসভা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে এ নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা ছিল সহনীয় পর্যায়ে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে পাঠানটুলী ওয়ার্ডে গুলিতে নিহতের ঘটনাটি এ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের মনে দাগ কেটেছে। যেহেতু প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে সেক্ষেত্রে কখন কোথায় অঘটন ঘটে যায় সে বিষয়ে চিন্তিত, সাধারণ মানুষ শঙ্কিত। এদিকে মঙ্গলবার রাতে পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাদের সমর্থিতদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বাহাদুর সমর্থিত কর্মী আজগর আলী। নিহত আজগর আলী বাবুলের দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে মামলা হয়েছে। পাঠানটুলী ওয়ার্ডের মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর ওরফে মাছ কাদেরসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ১৩ জনকে বুধবার সিএমএম আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। নিহত আজগর আলীর পুত্র সেজান মাহমুদ সেতু বাদী হয়ে বুধবার সকালে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- চসিক নির্বাচনে পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদের, হেলাল উদ্দিন ওরফে হেলাল, ওবায়দুল করিম মিন্টু, আবদুল ওয়াদুদ রিপন, আবদুর রহিম সাজু, আসাদ রায়হান, আলাউদ্দিন আলো, ইমরান হোসেন ডলার, দিদার উল্লাহ, সালাউদ্দিন সরকার, দেলোয়ার রশিদ, মোঃ আলমগীর ও আবদুন নবী। ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতেই কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ১৯ জনকে আটক করা হয় মগপুকুরপাড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে। সেখানে তাদের ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয় আরও ১১ জনকে। এ ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর এদের মধ্য থেকে বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ১৩ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে, এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ হাসানুজ্জামান এ ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কঠোর করার নির্দেশনা জারি করেছেন। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রার্থীর এখনও ইশতেহার নেই ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রতিদিনই ছুটছেন পাড়া মহল্লার ভোটারদের কাছে। গণসংযোগের পাশাপাশি চলছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে পথসভার কাজও। প্রার্থীরা নিজ হাতে প্রচারপত্র বিলি করছেন নাগরিকদের মাঝে, যাতে রয়েছে পরিকল্পিত নগরী গড়ার অঙ্গীকার। নির্বাচনী ইশতেহার এখনও প্রকাশিত না হলেও প্রার্থীদের প্রচারে আসছে চট্টগ্রাম মহানগরীকে বদলে দেয়ার আশ^াস। ভোট যতই ঘনিয়ে আসছে প্রচারে গতিও ততই বেগবান হচ্ছে। গণসংযোগ এবং প্রচারে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ঘটছে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনাও। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের আর দু’সপ্তাহ বাকি। শুরুতে ঝিমিয়েপড়া ভাব থাকলেও এখন তা নেই। বরং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগুলোর প্রচার এবং পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তাপ বৃদ্ধি পাওয়ার আলামত স্পষ্ট। বড় ধরনের অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটে গত মঙ্গলবার রাতে। সহিংসতায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। এমন বড় ঘটনা এখনও পর্যন্ত একটিই হলেও প্রতিদিনই পাওয়া যাচ্ছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ। প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে। সড়ক এবং অলিগলিতে পোস্টারের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সব মিলিয়ে ভোটের আমেজ বলতে যা বোঝায় তা আসতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন এখনও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেননি। তবে তারা কী করতে চান তা ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন বক্তব্য এবং প্রচারপত্রের মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও রয়েছে জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী গড়ার প্রতিশ্রুতি। চট্টগ্রামকে একটি যানজটমুক্ত পরিবেশবান্ধব পর্যটন শহর হিসাবে গড়ে তুলতে চান মেয়র প্রার্থীরা। প্রচারে নৌকা এবং ধানের শীষ প্রতীক সমানে সমান। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বুধবার বিকেলে গণসংযোগ করেন পূর্ব নাসিরাবাদ এবং আমিন জুটমিল এলাকায়। তিনি ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং মেয়র পদে ভোট প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলে চট্টগ্রামে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজ হাতে ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন, যাতে রয়েছে চট্টগ্রামকে ঘিরে তার পরিকল্পনা। এর আগে তিনি অংশ নেন মঙ্গলবার রাতে গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী আজগর আলীর নামাজে জানাজায়। তিনি নিহত আজগরের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি বলেন, সন্ত্রাসীর কোন রাজনৈতিক দল নেই। সন্ত্রাসীরা দেশের শত্রু। হত্যাকারীদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে বলে তিনি আশ^াস প্রদান করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন এদিন গণসংযোগ চালান মহানগরীর গোসাইলডাঙ্গা এবং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের বড় এলাকাজুড়ে। এ সময় তিনি বলেন, মহানগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে গোসাইলডাঙ্গা, মুনিরনগর, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের পানিতে এবং সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই ডুবে যায়। তখন নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জলবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। নগরীর বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় বিপুলসংখ্যক গার্মেন্টস শ্রমিক বসবাস করে। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভাড়াটিয়া। নিম্ন আয়ের এসব শ্রমিকের যাতায়াত এবং আবাসন সঙ্কট রয়েছে। পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থাসহ আবাসন সঙ্কট নিরসন করে ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ধানের শীষে ভোট দিয়ে আপনাদের পিতা নয়, সেবক নির্বাচিত করুন। আমি আপনাদের সেবক হয়ে সুখ-দুঃখে পাশে থাকব। আমি আপনাদের সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, স্মার্ট, নন্দনিক চট্টগ্রাম নগরী উপহার দিতে চাই। গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে তা হাসেম সওদাগর মসজিদ, কেবি দোভাস লেইন, মধ্যম গোসাইলডাঙ্গা, ফকিরহাট রোড়, হাজি ঠাণ্ডা মিয়া লেইন, রোহিঙ্গা পাড়া, বেচাখাঁ রোড, ফকিরহাট বাজার, নিমতলা বিশ্বরোড় হয়ে কাস্টমস মোড় এবং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা রেলক্রসিং থেকে শুরু হয়ে ইশান মিস্ত্রির হাট, পুরাতন ডাকঘর মোড়, লোহারপুল মোড়, মাইজপাড়া, ওমরশাহ পাড়া, কলসি দিঘী রোড়, ঈগল ক্লাব মোড়, ওয়াসিল চৌধুরী পাড়া, মাইলের মাথা, সিমেন্স হোস্টেল মোড়, নিশ্চিন্ত পাড়া ও হিন্দুপাড়া হয়ে ইসহাক ডিপুর সামনে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপি নেতা এমএ আজিজ, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, গাজী সিরাজউল্লাহ এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
×