ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘বাংলাদেশ ফেবারিট’

মানছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্স

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

মানছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের মাটিতে রবিবার এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দল। কোয়ারেন্টাইন শেষে আজ অনুশীলনে নামবেন তারা। সব ক্রিকেটার করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। জৈব সুরক্ষা বলয়ে হোটেলে থাকছেন। এ সিরিজে নিজেদের অবস্থান ভালভাবেই বুঝতে পারছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। দুর্বল দল নিয়ে এসেছেন। খেলবেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটিতে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ সিরিজে ফেবারিট। তা মানছেনও সিমন্স। সিরিজ নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সিমন্স কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ যে ফেবারিট তা বলেছেন। জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার ফেবারিট। কারণ ওরা দেশের মাটিতে খেলবে এবং এখানে তারা ভাল খেলে।’ এ সিরিজ দিয়ে এখন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপকে নজরে রেখে দল গুছিয়ে নেয়ার পরিকল্পনাতেই এগিয়ে যেতে চান সিমন্স। বলেছেন, ‘এই সিরিজ দিয়ে আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হবে। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লীগ টুর্নামেন্ট দিয়ে আমাদের মূলপর্বে জায়গা করে নিতে হবে। আমরা সব সময় জয়ের জন্য মাঠে নামি। হ্যাঁ, বলতে পারেন আমাদের পূর্ণশক্তির দল আসেনি। তবে যারা দলে আছে ওরা ভাল করতে চায় এবং মাঠে নামতে মুখিয়ে আছে। জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা এখানে এসেছি।’ করোনা ভয়ের কারণে ১০ ক্রিকেটার এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ২ ক্রিকেটার এ সিরিজে খেলছেন না। দ্বিতীয়সারির দল এসেছে বলা চলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, সীমিত ওভারের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ও টেস্ট সহ অধিনায়ক রোস্টন চেজ ছাড়াও ড্যারেন ব্রাভো, শামারাহ ব্রুকস, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শাই হোপ, নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমায়ার এই সফরে আসেননি। ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন অলরাউন্ডার ফ্যাবিয়ান এ্যালেন ও উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শেন ডউরিচ। যারা বাংলাদেশ সফরে আসেননি তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ। তবে মানছেন পোলার্ডদের অভিজ্ঞতা এই সিরিজে কাজে লাগতে পারত। সিমন্সের বিশ্বাস তরুণরা অভিজ্ঞদের এই অভাব পুষিয়ে দিতে পারবেন। তিনি জানান, ‘আমার মনে হয় আমাদের সব খেলোয়াড়কে প্রথম সিরিজ থেকেই এই সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কেউ কেউ প্রথম সিরিজে যায়নি, কেউ কেউ দ্বিতীয় সিরিজে যায়নি এবং কেউ কেউ এই সিরিজে আসেনি। আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই এই সিদ্ধান্তের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কারণ রয়েছে। আমি কাউকে একটি সফরে না যাওয়ার জন্য বিচার করতে পারি না। আমি বলতে পারব না এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সবারই ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা থাকে। তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আমার নিজের বাদে অন্য কারও ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।’
×