ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্যারিবীয়দের হারাতে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

ক্যারিবীয়দের হারাতে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার এখন ম্যাচ হলেই বেশিরভাগ ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। এবার তো খেলা বাংলাদেশের মাটিতেই। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলটিও সবল নয়। আর তাই ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে এবার ওয়ানডে কিংবা টেস্ট, দুটি সিরিজেই জিততে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০ মিলিয়ে সর্বশেষ ১৬ ম্যাচের ১২টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে চার ওয়ানডে ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে। এরমধ্যে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে টানা তিনবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো কোন সিরিজ বা টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে। ২০১৯ সালের আগে হওয়া সর্বশেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে চার ওয়ানডে, ৬ টি২০ ও ২ টেস্ট হয়েছে। দুটি টেস্টেই জয় মিলেছে। ৬ টি২০র মধ্যে ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। আর ওয়ানডের মধ্যে ৩ ওয়ানডে জয় হয়েছে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে খেলে যে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ, সেই থেকে জয় মিলছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে। এবারও তা থাকবে বলেই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে সিরিজ জিততে পারবেন বলেই মনে করছেন। তিনি বুধবার বলেছেন, ‘আমি মনে করি যে, আমাদের দল খুব ভাল একটা পজিশনে আছে। আমাদের সামনে যে সিরিজ আছে, আশা করি আমরা সিরিজ জিততে পারব।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘অনেকদিন পর একসঙ্গে হয়েছি এবং আমাদের সবাই খেলার জন্য অনেক উৎফুল্ল। বিশেষ করে আমাদের সাকিব ভাইও টিমে ফিরেছেন। আমরা হতাশ ছিলাম, কীভাবে কি করব না করব। অনুশীলন সেভাবে করতে পারছিলাম না। তার পরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। এক বছর পর খেলা শুরু হচ্ছে দেখে আমরা প্রত্যেকেই খুশি।’ করোনাভাইরাসের কারণে ১০ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০, ২২ ও ২৫ জানুয়ারি যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ও ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। করোনাভাইরাসের প্রভাব না থাকলে জাতীয় দলের খেলা থাকত। খেলা হলে এক বছর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খেলতে পারতেন না। তাতে দলও দুর্বল হয়ে থাকত। সাকিবের ফেরা এবং করোনা বাংলাদেশের জন্য প্লাস পয়েন্ট হয়ে ধরা দিয়েছে বলেই মনে করেন মিরাজ। বলেছেন, ‘অনেকদিন পর আমরা আবারও একসঙ্গে। মাঠে ফিরতে সবাই মুখিয়ে আছে। বিশেষ করে সাকিব ভাইয়ের কথা বলতে হয়। হয়ত উনি এক বছর খেলার বাইরে ছিলেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এই সময়টাতে আমাদের খেলাও হয়নি। যেটা আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। আসন্ন সিরিজের জন্য সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে। আশা করছি ভাল একটা সিরিজ হবে।’ জাতীয় দলে নিজের অবস্থানও আরও দৃঢ় করতে চান মিরাজ। এ নিয়ে স্পিন অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘শেষ তিন-চারটা আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমি অতটা ভাল করতে পারিনি। তবে আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ভাল করেছি, সেটা দেশের মাটিতে খেলা টেস্ট-ওয়ানডে দুটোতেই। তাই আমি অবশ্যই ভাল অনুভূতি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে পারব। এটাই চেষ্টা করব, নিজের পারফর্মেন্সটা যেন ভাল করতে পারি, দিনশেষে দল যেন ভাল ফল করে।’
×