ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্চফলনশীল আলু আবাদে ঝুঁকছেন বগুড়ার কৃষক

প্রকাশিত: ২১:২২, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

উচ্চফলনশীল আলু আবাদে ঝুঁকছেন বগুড়ার কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। খেত থেকে কৃষকরা আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খেতজুড়ে শুধু আলুর ফলনই নয়, শীতের সোনালি রোদ্দুরের সঙ্গে কষৃকদের মুখের হাসিও এখন বিস্তৃত। গত বছরের তুলনায় এবার বিঘা প্রতি আলুর ফলন জাত ভেদে ১০ মণ বেশি হয়েছে। অন্যদিকে বেশি ফলনের জন্য আলুচাষীরা স্থানীয় জাতের পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে উচ্চ ফলনশীল আলু আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। এতে ক্রমান্বয়ে কমছে স্থানীয় জাতের আলুর আবাদ। কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে খেত থেকে আলু উত্তোলন কেবল শুরু হয়েছে। এটা চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত দু’বছরের তুলনায় এবার ফলন বেশি হয়েছে বলেও কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। বগুড়া সদরের শাখারিয়ার নামাবালা এলাকার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক খেত থেকে আলু তুলে বস্তায় ভরছিলেন। তার মুখমণ্ডলজুড়ে ছিল প্রশান্তি। দশ বিঘা জমিতে ক্যারেট জাতের আলু চাষ করেছেন। ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি প্রায় ৭০ মণ। গত বছরে এই ফলন ছিল ৫৫ থেকে ৬০ মণ। তবে এখন গত বছরের তুলনায় আলুর বাজার কিছুটা কম হলেও বেশ ভাল লাভ হবে বলে জানালেন তিনি। কালিবালা এলাকার কৃষক এমরান প্রায় ৩বিঘা জমিতে ‘সেভেন’ নামে উচ্চ ফলনশীল বা উফশি জাতের আলু আবাদ করেছেন। এখন খেত থেকে ফলন তুলছেন। তিনি জানালেন, প্রতি শতকে এবার প্রায় ৩ মণ পর্যন্ত এই জাতের ফলন পাওয়া গেছে। গত বছর এটা প্রতি শতকে দেড় থেকে ২ মণ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে। তবে এই সময় গত বছর আলুর বাজার দর আরও ভাল ছিল। এর পরেও আবাদ ও ফলন নিয়ে তারা খুশি। কারণ আলু আবাদে এবার কোন সমস্যা হয়নি। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে,গত দু’বছরের তুলনায় এবার আলুর আবাদ ভাল হয়েছে। এবার ৫৭ হাজার ৭ শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও নির্দষ্ট সময় পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৫৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর। কৃষি বিভাগ সূত্র বলছে, এর বাইরে আরও প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। সব মিলিয়ে বগুড়ায় আলুর আবাদ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে। আর ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন।
×