অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উত্তরা ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা গরমিলের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ পরিদর্শনে এ তথ্য পাওয়া গেলেও উত্তরা ফাইন্যান্সের দাবি অসংগতি কয়েক হাজার কোটি নয়, কয়েকশ’ কোটি টাকার। আর্থিক প্রতিবেদনে এমন অনিয়মের বিষয়ে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, তথ্য গোপনের অপকৌশল ছিল অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের। এ ঘটনাকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রাহকদের বিশ্বাসে আরেকটি আঘাত বলে মনে করেন তারা।
পিকে হালদারের পিপলস লিজিং কাণ্ডের পর আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান উত্তরা ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ভয়াবহ আর্থিক অনিয়মের তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে এটি উঠে এসেছে।
২৪৯ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ ছাড় করলেও শেয়ার কেনার কোনো প্রমাণ নেই। এ ছাড়া প্রায় ৫২২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে উত্তরা ফাইনান্সের পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। ব্যালেন্স সিটে অগ্রিম ও পূর্বে পরিশোধ এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নামে যথাক্রমে ৯০ কোটি ও ২২১ কোটি টাকা দেখানো হলেও পর্যালোচনায় দেখা যায়, অনুমোদন ছাড়াই পরিচালকদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে মোট ১ হাজার ২০১ কোটি টাকা ছাড় করেছে উত্তরা ফাইনান্স। এ ছাড়া ১১৮টি অনুমোদনহীন ঋণ হিসেবে উত্তরা মটরস ও গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৩৩৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
উত্তরা ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শামসুল আরেফিন বলেন, এটা দেখা হচ্ছে। কাজ করা হলে আশা করি ব্যাখ্যার দরকার হবে না।
উত্তরা ফাইন্যান্সের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করেছিল এসএফ আহমেদ অ্যান্ড কোং। তাই এমন অনিয়মে তাদের দায় কতটুকু সেটাও বড় প্রশ্ন।
বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব বলেন, এ ধরনের কাজ মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানবে।