ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ১৩ জানুয়ারি ২০২১

পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ নব গঠিত কমিটিতে পছন্দমত পদ না পাওয়ায় পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আজ বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে প্রতিকার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সভাপতি মো. আতিক হাসান মিল্লাত, সাধারণ সম্পাদক মামুন আর রশিদ সুমনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, নবগঠিত পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিবুর রহমান নয়ন কাক্সিক্ষত সাধারণ সম্পাদকের পদ না পওয়ায় পদবঞ্চিত কতিপয় নেতাকর্মীকে নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে জেলা ছাত্রলীগ অনুমোদিত পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। উল্লেখ্য, সে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। তার বাড়ি থেকেই গত বছরের ১৮ অক্টোবর গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ। যা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। সেজন্য পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সুপরিকল্পিত মিথ্যা অপপ্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত নাজিবুর রহমান নয়ন ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধাণ সম্পাদক মামুন আর রশিদ সুমনের মা হোসনে আরা বেগম পলাশবাড়ী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ রাণীর মেয়ে। সে কারণে পারিবারিক সুত্রে সুমন ২০০৮ সাল থেকে পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত। ২০১০ সালে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক এবং পলাশবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হয়। এছাড়াও সে ২০১৫ সালে গাইবান্ধা জেলা বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিক্যাল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ঐক্যমতের ভিত্তিতে পলাশবাড়ি উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকসেবী ও সে এবং সভাপতিসহ কতিপয় নবনির্বাচিত কর্মকর্তাকে বিবাহ রেজিস্টার কাজীর ভুয়া কাগজ বলে বিবাহিত হিসেবে যে অভিযোগ উত্থাপিত করা হয়েছে তাও মিথ্যা ও বানোয়াট। সাধারণ সম্পাদক সুমনের কাছে মাদক দ্রব্য পাওয়ার তথ্যটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানোর লক্ষ্যে কিছু না পাওয়ায় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে কথা কাটাকাটি হওয়ায় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। প্রকৃত পক্ষে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আতিক হাসান মিল্লাত ২০১০ সাল থেকে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাথে সম্পৃক্ত হয় এবং ২০১৪ সাল থেকে পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভুমিকা রাখে। সে কিংবা তার পরিবার কোনদিন বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পলাশবাড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান ও সৌরভ হাসান উজ্জল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউজ্জামান সাকিল ও মো. নাজমুল হক জুলিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক কামাল আহম্মেদ বাবু, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শ্যাম সরকারসহ বদিউজ্জামান স্বপন, তৌফিকুর রহমান মিশুক, বিশাল সরকার, ওলিউল ইসলাম, মো. সাইদ হাসান অনিক, মো. আবু জাফর রাফি, মেকাত সরকার সিফাত, কাজী তৌফিক, শাকিল আহম্মেদ প্রমুখ।
×