ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অন্যসব স্বাস্থ্য ভাবনা

প্রকাশিত: ০১:১১, ১২ জানুয়ারি ২০২১

অন্যসব স্বাস্থ্য ভাবনা

বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি * শিথিল হন। আলতো চেয়ারে বসুন বুকের দুধ খাওয়ানোর অভিপ্রায়ে। * নবজাতককে কোলে নিন। ওর মাথাটা কনুইয়ের মধ্যে নিন। ও আপনার দিকে ফিরে থাকবে। পা দুটো থাকবে ঢালু করে নিচের দিকে। আপনার হাত দিয়ে ওকে বেড় দিয়ে ধরে রাখুন। আপনার অন্য হাত দিয়ে স্তনের নিচে আঙ্গুল দিয়ে সাপোর্ট দিন। বোঁটাটি আলতো করে ওর মুখের ভেতর ঢুকায়ে দিন। ও বোঁটার সঙ্গে সঙ্গে চারপার্শ্বের কালো অংশ (এরিওলা) টুকুও মুখের ভেতর ঢুকায়ে নেবে এবং একটি নলের মতো তৈরি করে চুক চুক করে টানতে থাকবে। * এক পার্শ্বে স্তন পুরোপুরি টানার পর অন্য পার্শ্বের স্তনে ধরুন। * পরের বার যখন দুধ খাওয়াবেন তখন শেষের স্তনটি দিয়ে শুরু করুন। * কতক্ষণ? যতক্ষণ ও টানবে, ততক্ষণ। * কতক্ষণ পর পর খাওয়াবেন? যখনই ও দুধ খেতে চাইবে তখনই দিতে হবে। * প্রথম ২-৩ দিন কষ কষ দুধ আসে একে শাল দুধ বলে, খুবই পুষ্টিসম্পন্ন এই শাল দুধ। তারপর বাচ্চা যত চুষবে তত আপনার ‘দুধ নামবে’। * দুধ খাওয়ানোর পর পেটের বাতাস বের করুন। কাঁধে নিয়ে করতে পারেন বা কনুইয়ের মধ্যে ওর দেহ নিয়ে কোলের মধ্যে বসায়ে রাখুন। * কি করে বুঝবেন ও যথেষ্ট দুধ পাচ্ছে? দিনে রাতে যদি ৬ বার প্রস্রাব করে তাহলে বুঝবেন ও যথেষ্ট দুধ পাচ্ছে। * আপনি ৩ বারের জায়গায় ৪ বার খান দিনে। তরল খাদ্য বাড়িয়ে দিন। নিশ্চিন্ত থাকুন। মনে রাখবেন অতি ঘুমহীনতা বা দুশ্চিন্তা আপনার দুধের গতিকে কমায়ে দিতে পারে। পরিবারের অন্যরা আপনাকে মানসিক সাহচার্য দেবে। * পুরোপুরি ৬ মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়ায়ে বাচ্চা পালনের মনোবৃত্তি তৈরি করুন। ১০টি খাদ্য রক্তশূন্যতা রোধ করে * লাল মাংস : গরু-খাসির মাংস আয়রনসমৃদ্ধ। * পালংশাক : প্রতিদিন ১ কাপ পালংশাক খেলে আপনার শরীরের আয়রনের চাহিদার ২০% পূরণ হয়। * শিম : বিভিন্ন রকমের শিমের দানা প্রতি কাপে অন্তত ৫ মিলিগ্রাম আয়রন ধারণ করে। * চিনা বাদাম : চিনা বাদামে প্রচুর আয়রন থাকে। ফলে তা রক্তশূন্যতা রোধ করে। * আখরোট : প্রতিদিন এক পেয়ালা আখরোট রক্তশূন্যতাকে দূরে রাখে। * খোসাসমেত রুটি : এক টুকরা খোসাসমেত পাউরুটি আপনার শরীরের ৬% আয়রন ধারণ করে থাকে। * ডিম : ডিমে রক্তশূন্যতা দূর হয়। * আনার : আনারে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি শরীরের আয়রন শোষণ বাড়িয়ে দেয়। * খেজুর : এক কাপ খেজুরে ৫ মিলিগ্রাম আয়রণ তাকে। * টমেটো : টমেটো আপনার রক্তশূন্যতাকে দূরে রাখে। টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন সি ও লিউকোপেন থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। * মধু : মধুতে বিভিন্ন খনিজ ও আয়রণ প্রচুর পরিমাণে থাকে। * বিট : রক্তশূন্যতা রোধ করে, রক্তকে পরিশোধিত করে। ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট এক বা একাধিক দাঁত না থাকলে ডেন্টা ইমপ্ল্যান্ট, ব্রিজ ও কৃত্রিম দাঁত বাঁধাইয়ের মাধ্যমে তা প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সবচেয়ে ভাল। ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সাধারণত টাইটেনিয়ামের তৈরি যা ব্যবহৃত হয় হারানো দাঁত পড়তে পারে না বা সমস্যা হয় তখন ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সবচেয়ে ভাল। একটি দাঁত ফেলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট করা যায়। যেসব রোগীর মুখে একটিও দাঁত থাকে না তাদের ইডেনটুলাস রোগী বলা হয়। মুখে একটিও দাঁত না থাকলেও ধীরে ধীরে মুখের গঠনগত কাঠামো নষ্ট হয় এবং অকলুশাল প্লেন ঠিক থাকে না। তাই ইডেনটুলাস রোগীর ক্ষেত্রে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সবচেয়ে কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট করার পর রোগীর হাড়ের রিজরবশন কমে যায়। ফলে ভার্টিকাল হাইট ঠিক থাকে। রোগীদের মাঝে যারা সঠিক সময়ে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট করে থাকেন তাদের বয়স কমপক্ষে দশ বছর কম মনে হবে।
×