ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মানিক মিয়া এ্যাভিনিউর ট্রাফিক বক্স সমাচার

প্রকাশিত: ২০:৪৪, ৯ জানুয়ারি ২০২১

মানিক মিয়া এ্যাভিনিউর ট্রাফিক বক্স সমাচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউয়ের সাইকেল লেন থেকে ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্প’ খ্যাত ট্রাফিক পুলিশ বক্সটি উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সাইকেল লেনের বিষফোঁড়া এই পুলিশ বক্স নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই পুলিশ বক্সটি সরিয়ে ফেলা হয়। গত ২৮ ডিসেম্বর ডিএনসিসির মহাখালী অঞ্চলের (অঞ্চল-৫) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ বক্স উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা ২৭ তারিখে সাইকেল লেনে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। প্রায় এক শ’র মতো অস্থায়ী দোকানপাট তুলে দেয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ বক্সের বিষয়টি আমাদের মাথায় ছিল। যেহেতু সরকারী একটা সংস্থার স্থাপনা। সেক্ষেত্রে চাইলেও সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গা যায় না। সিটি কর্পোরেশনের থেকে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আজকে এটা উচ্ছেদ করে এই সাইকেল লেন পরিষ্কার করা হলো।’ ট্রাফিক পুলিশ বক্স হিসেবে একটি স্থাপন করা হলেও এটি মূলত ব্যবহার হতো মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে তেজগাঁও থানা পুলিশের চেকপোস্ট বক্স হিসেবে। দিনের বেলায় ট্রাফিক সার্জেন্টরা এই বক্সে বসে যেমন যানবাহনের কাছ থেকে চেকিংয়ের নামে ‘চাঁদা’ আদায় করত, তেমনি রাতে এটি চেকপোস্ট পুলিশের ‘কনসেট্রেশন ক্যাম্প’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রায় রাতেই দেখা যেত নিরীহ সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের যুবকদের আটকে রেখে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করতে। রাতে অবশ্য রাজধানীর প্রায় সবগুলো পুলিশ বক্সই পণ্যবাহী ট্রাক বা ভ্যান থেকে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদা আদায়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়। রাত ১১টার পর থেকে শুরু হয়ে এই চাঁদা আদায় চলে মধ্যরাত এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত। তখন বাংলামটর, সোনারগাঁও মোরের মতো ব্যস্ত রাস্তার ট্রাফিক বক্সগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত সার্জেন্ট ও কনস্টেবলদের অবৈধ চাঁদা আদায়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়। সোনারগাঁও মোড়ে প্রতি রাতে প্রকাশ্যেই দেখা যায় ট্রাফিক কনস্টেবলদের পণ্যবাহী ট্রাক বা ভ্যান আটকে চাঁদা আদায় করতে। এতে পণ্যেও দাম বেড়ে যাচ্ছে এবং এর চাপ পড়ছে ভোক্তদের ওপর। সরকারী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির পরও কেন এক শ্রেণীর দুর্নীতিগ্রস্ত ট্রাফিক কনস্টেবল ও সার্জেন্ট এই চাঁদা আদায় করছে তা এক বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
×