ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফ্যাশনেবল গাউন

প্রকাশিত: ২২:১০, ৪ জানুয়ারি ২০২১

ফ্যাশনেবল গাউন

দিনক্ষণ মেপে কোন উৎসব নয়। একেবারেই প্রাণের আবেগ নিয়ে বাঙালী জাতি পালন করে তাদের উৎসব। আবেগময়তার কারণেই উৎসবে যোগ হয় ভিন্নমাত্রা। উৎসবগুলোও যেন প্রকৃতি কেন্দ্রিক। সারা বছর বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালিত হলেও শীতকালে এর মাত্রা বেড়ে যায়। অর্থাৎ নানা উৎসব আয়োজন, পালা-পার্বন ও মৌসুমকে ঘিরেই যেন আবর্তিত হয়। আর উৎসব-পার্বনে যোগ দিয়ে যে বিষয়টি সবার আগে মাথায় আসে তা হলো পোশাক, ঋতুর পালাবদলে চলছে শীতকাল। দিন দিন যেন বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। যে কারণে উৎসবের পোশাকের ব্যাপারটির চেয়েও প্রাধান্য পায় শীতের পোশাক। আর এ শীতের পোশাকেই রয়েছে ভেরিয়েশন। বাহারি পোশাক, বৈচিত্র্যময় পোশাক, নজরকাড়া পোশাক যাই বলি না কেন, পোশাকের বাজারে ফ্যাশনেবল পোশাকের যেন অন্ত নেই। যে কারণে যে কোন সময় মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের পছন্দসই পোশাক শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া সম্ভব। এতেই বোঝা যায় দেশীয় ফ্যাশন ট্রেন্ড কতটা এগিয়েছে। বিশ্বের ফ্যাশন পালাবদলের আগে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফ্যাশন। আর সে ছোঁয়া লেগেছে শীতের পোশাকে। বর্তমান সময়ে শীতের নানা ভেরিয়েশনের পোশাক চোখে পড়বে ফ্যাশন আউটলেটগুলোতে, তেমনি ফ্যাশনেবল শীতের পোশাক হচ্ছে গাউন। যা তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই প্রিয়। শীত এলেই যেন বেড়ে যায় এর কদর। আর এ চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন ও রঙ বিভিন্ন রঙ এবং ডিজাইনের গাউন এখন শোভা পাচ্ছে নগরীর শপিং মলগুলোতে। তরুণীদের জন্যই ফ্যাশনেবল গাউনের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা এবং ডিজাইন, প্যাটার্ন ও শেপের দিক থেকেও স্বকীয় পার্থক্য বিরাজমান। একেকটি একেকটির চেয়ে আলাদা। বর্তমান সময়ে সিনথেটিক, উল, লিলেন, সিল্ক, হাফ সিল্ক, জর্জেট এবং কটন গাউনের চাহিদা বেশ। ডিজাইন কাপড় এবং কালারভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে। জর্জেট, মকমল কিংবা সিল্কের গাউন অন্যান্য গাউনের তুলনায় সঙ্গত কারণেই একটু বেশি দামী। ১২ থেকে ৪০ বয়সীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে গাউন । পাশ্চাত্য এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ডিজাইন ও প্যাটার্ন প্রাধান্য দিয়ে প্রস্তুতি করা হয়েছে গাউন । অনেকেই একে হিপ-হপ গাউন বলে চিহ্নিত করে থাকে। তবে জর্জেট, মকমর গাউনের তুলনায় হাফসিল্ক কিংবা কটন গাউন একটু সিম্বল। সিম্বল কথাটির মানে হচ্ছে একটু অফিসিয়াল গেট-আপ গাউন । অর্থাৎ হিপ-হপ প্যাটার্নের বাইরের ডিজাইনে প্রস্তুত এ গাউন । পার্টি ছাড়াও নিত্য নৈমেত্তিক কাজের জন্য ছুটে বেড়ানো ব্যক্তিদের প্রথম পছন্দ এ ধরনের গাউনগুলো। তবে এবারের গাউনগুলোতে হাতের এবং গলার কাছের কাজ বেশ লক্ষ্যনীয়। লেসের ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। জমকালো গাউনগুলো ব্যবহার করা হয়েছে স্টোন। যা দেখতে বেশ গর্জিয়াস। যে কোন পার্টিতে মানানসই। ইদানিং গাউন পরে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজও সারছে ললনারা। পোশাক বৈচিত্রের এ ব্যাপারটা বেশ ভালই মানিয়েছে। দিন দিন বাড়ছে গাউনের কদর। এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে ফ্যাশন হাউসগুলো সাজিয়েছে বিভিন্ন ডিজাইন ও প্যাটার্নের গাউন দিয়ে। অনায়াসে খুজে পাওয়া যাবে নিজের পছন্দসই গাউনটি। যা খুবই স্মার্র্ট এবং ফ্যাশনেবল। অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীত এলেই বেড়ে যায় গাউনের কদর। আর এ কদর বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সহনীয় দাম। পশমি গাউনের দাম পড়বে ২৫০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা। মকমল ও জর্জেটের গাউনের দাম ৪,০০০ থেকে ৯,০০০ টাকা। কটন গাউনের মূল্য পড়বে ১,৫০০ টাকা থেকে ২,২০০ টাকা। ডেনিসসহ আরও কিছু ব্যান্ডের গাউনেব দাম অবশ্য একটু বেশি। ১৫০০০ থেকে ৩৫০০০ টাকা পড়বে ব্রান্ডের গাউনগুলো। সিনথেটিক গাউন মিলবে ১৮০০ থেকে ৪,৪০০ টাকা। অনেকেই নিজেই ডিজাইন করে বানিয়ে নিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্য নিজের পছন্দের বহি:প্রকাশ ঘটানো যায় পোমাকে। তবে রেডিমেট গাউনের প্রতিই ঝোক বেশি। নিজের রুচি চাহিদা ও সাধ্যের মধ্যে সংগ্রহ করে নিতে হবে পছন্দসই গাউন । দেশের আধুনিক শপিংমল থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ওয়েস্টার্ন প্যাটার্ণেও হাউসগুলোতে দেখা মিলবে শীতের ফ্যাশনেবল গাউনের। প্রয়োজন শুধু নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলা। মডেল : বর্ষা চৌধুরী ড্রেস : আনজারা জুয়েলারি : উজমাহ মেকআপ : ফারহা ছবি : সোহেল
×