ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘকে ঢাকা

রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বিরোধিতা না করে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিন

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বিরোধিতা না করে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বিরোধিতা না করে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে উদ্যোগী হতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের আরেকটি দলকে নোয়াখালীর ওই দ্বীপে নেয়ার পর বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বার বার বলে আসছি, সমস্যা মিয়ানমার তৈরি করেছে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারেই। এ কারণে বাংলাদেশের ওপর অযৌক্তিক ও অন্যায্য চাপ প্রয়োগ না করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক এনজিও, মানবিক সহায়তা প্রদানকারী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উচিত, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যে ভয়ানক মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে, তার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। ‘জাতিসংঘের উচিত মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং সেখানে প্রত্যাবাসন প্রস্তুতি দেখার জন্য একটি কারিগরি ও সুরক্ষা দল পাঠানো।’ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে চড়ে এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী রওনা হন নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে। দুপুরে তারা সেখানে পৌঁছেন। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১ হাজার ৬৪২ জনকে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ভাসানচরে নেয়া হয়। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই স্থানান্তরের বিরোধিতা করে আসছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগের পাল্টায় বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকার পুনরায় গুরুত্বারোপ করছে যে, ভাসানচর সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং বসবাসের উপযোগী। ৩০ বছর বয়সী এই দ্বীপে স্বাস্থ্যসেবা, পানি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রভৃতি রয়েছে।’ ইতোমধ্যে ভাসানচরের সঙ্গে নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সি-ট্রাক চালুর কথাও বলা হয় ওই বিবৃতিতে।
×