ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রাম পৌরসভার ১৩ কর্মচারী নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত: ২১:১৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

কুড়িগ্রাম পৌরসভার ১৩ কর্মচারী নিয়োগ বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রাম পৌরসভার বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৩ পদে জনবল নিয়োগ আদেশ বাতিল করে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ ফারুক হোসেন। চিঠিতে এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথক দুটি চিঠিতে পৌর মেয়র আব্দুল জলিলকে পদ থেকে অপসারণ ও পৌর সচিব এসএম রেজাউল করিমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। এ তথ্য ফাঁস হলে কুড়িগ্রামে তোলপাড় শুরু হয়। একইসঙ্গে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চাকরি হারানোর ভয়ে। স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখা’র উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সভাপতি কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিলকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২(১)(ঘ) অনুসারে মেয়রের পদ হতে কেন অপসারণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। একইভাবে অপর এক চিঠিতে নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও কুড়িগ্রাম পৌরসভার সচিব এসএম রেজাউল করিমকে পৌরসভার চাকরি বিধিমালা, ১৯৯২ এর বিধি ৪১(খ)(ঈ) অনুসারে চাকরি হতে কেন বরখাস্ত করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যাকরণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পৌরসচিব এসএম রেজাউল করিম মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্ত সংক্রান্ত পত্র ২৭ ডিসেম্বর পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিয়েছি। নিয়োগে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়নি। অসাবধানবশত এ নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণ না করায় মন্ত্রণালয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ চিঠি দেয়। নিয়োগ বোর্ডে অন্যান্য সকল সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণে নিয়োগ কমিটির সভাপতি পৌরমেয়র আব্দুল জলিলকে সুপারিশ করলেও তার একগুয়োমির কারণে তা করা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়র আব্দুল জলিল জানান, চিঠি পেয়ে সোমবার ই-মেইলের মাধ্যমে এবং মঙ্গলবার ডাকযোগে মন্ত্রণালয়ে কারণ দর্শানো পত্রের জবাব দিয়েছি। পত্রে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি। প্রকৃতপক্ষে ২০১৪ সালে সাবেক মেয়র নুর ইসলাম নুরু’র সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৬ সালে আমি পৌরসভার দায়িত্ব নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সকল বিধিবিধান মেনে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব ছিলেন পৌরসভার সচিব। এছাড়া জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখভাল করেন। সরকারী আইন-কানুন তাদের জানবার কথা। তাদের অবহেলা ও খামখেয়ালিপনার কারণে অনিচ্ছাকৃত ভুলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করা যায়নি।
×