নতুন বছরের ১১ প্রতিজ্ঞা
১. প্রতিদিন আনন্দের জন্যে কিছু সময় ব্যয় করুন।
২. বেশি চিন্তা করা থেকে বিরত থাকুন।
৩. শিথিল থাকুন বেশি।
৪. আপনাকে সমস্ত শৃঙ্খলমুক্ত করুন।
৫. নিজ যোগ্যতাকে স্মরণ করুন।
৬. ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকুন।
৭. নিজ স্বপ্নগুলো নিয়ে জোরালো হোন।
৮. নিজের প্রতি সদয় হোন।
৯. নিজ রসিক ভাবটা বজায় রাখুন।
১০. নিজের যা আছে তাতে সন্তুষ্ট থাকুন।
১১. করোনামুক্ত নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখুন।
মোশন সিকনেস
১. মোশন সিকনেস সাধারণত বাস, কার, জাহাজ বা উড়োজাহাজে যাত্রাকালীন অসুস্থতাকে বোঝায়।
২. বমি বমি ভাব, বমি কিংবা মাথাঘোরা ভাব, ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি প্রকাশ পেতে পারে।
৩. যাত্রাকালীন খাদ্য ও পানীয়র দিকে লক্ষ্য রাখুন। অতিরিক্ত ফ্যাটি খাদ্য ও মসলাযুক্ত খাদ্য পরিহার করুন। যে খাবার ও পানীয় খেলে আপনার খারাপ লাগে তা পরিহার করুন।
৪. অতি গন্ধযুক্ত খাদ্য পরিহার করুন।
৫. যে আসনে আপনার কম ঝাঁকুনি হয় সেরকম একটি আসন আপনার জন্যে বেছে নিন।
৬. কখনও যাত্রাপথের গতির বিপরীতে তাকাবেন না।
৭. গাড়ির সামনের আসনে বসুন
৮. পড়তে যাবেন না, যদি আপনার যাত্রাকালীন অসুস্থতার ইতিহাস থাকে।
৯. যখন নৌকা বা মোটর গাড়িতে ভ্রমণ করছেন তখন আপনার দৃষ্টি নির্দিষ্ট রাখুন সামনের দিকে।
১০. খোলা বাতাসে বসুন সম্ভব হলে।
১১. যারা ভ্রমণ কালীন অসুস্থতায় ভুগে থাকেন তাদের থেকে একুট দূরে থাকুন। কারণ তাদের অসুস্থতার কথা শুনলেও আপনি অসুস্থ হতে পারেন।
১১. সঙ্গে মেক্লেজিন জাতীয় বমির ওষুধ নিন আগে থেকে।
মাসিক-পূর্ব যন্ত্রণার উপশমের উপায়
৮০% মহিলাই মাসিকের পূর্বে তলপেটে ব্যথা বেদনায় ভুগে থাকেন
মাসিক-পূর্ব যে হাল্কা তলপেট যন্ত্রণা বা ফাঁপার ১০ উপশম-
১. বেশি লবণযুক্ত খাদ্য ও কফি পরিহার করুন। বেশি বেশি ফল ও আঁশযুক্ত খাবার খান মাসিক-পূর্ব সপ্তাহে।
২. আরও ব্যায়াম করুন।
৩. ভিটামিন খান, ‘বি-৬’ এবং ভিটামিন ‘ই’ খান। প্রমাণ আছে এরা ভাল কাজ করে।
৪. আদা বেশি করে খান। আদা চা উপকার দিতে পারে।
৫. আপনার স্ট্রেস কমানোর দিকে দৃষ্টি দিন। বেশি করে ঘুমান। ঘুমহীনতা আরও যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেবে।
৬. হাল্কা বেদনানাশক খান। এন এস এ আইডি যেমন আইবুপ্রুফেন বড়ি খান।
৭. জন্ম নিয়ন্ত্রক কম ডোজের বড়ি খান। ওষুধের মতো কাজ করে।
৮. আপনার চিকিৎসককে বলুন, আপনি মানসিক হতাশা মুক্তির ওষুধ খেতে পারেন কিনা।
৯. প্রস্রাব বেশি হওয়ার বড়ি ডাইইউরেটিক্স খান। কমে যেতে পারে।
১০. মাসিক-পূর্ব যন্ত্রণার একটি চার্ট করুন। দেখুন আপনি আবার হতাশায় ভুগছেন কিনা।
ভাল স্বাস্থ্যের জন্য
অল্পাহারী হোন, জোরে নিঃশ্বাস নিন, মধ্যম জীবনযাপন বেছে নিন, আনন্দের চিত্ত গঠন করুন, জীবনের সব সময় আনন্দ খুঁজুন।
ব্যায়াম হলো মানসিক স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি ভারোত্তলন করুন
যারা ভারোত্তলন করে তাদের হতাশা বা দুশ্চিন্তার রোগ ২৫% কমে যায়।
স্বাস্থ্য হলো শুধু খাদ্য
বোটনয়েডস বা ভিটামিন ‘এ’ ক্রিম ব্যবহার আপনার ত্বককে বয়স্কের ছাপ ফেলতে দেয় না।
ছোপ ছোপ দাগগুলোর ব্যাপারে যত্নশীল হোন।
সমতল পেটের জন্য
০ খাদ্য গ্রহণের আগে ১ গ্লাস পানি পান করুন
০ ৫ বেলা ছোট ছোট খাদ্য গ্রহণ করুন
০ আপনার ভাতের ও তরকারির পরিমাণ ঠিক রাখুন।
০ প্রতিদিন ২০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম করে ঘেমে যান।
০ শান্ত স্নিগ্ধভাবে চলাফেরা করুন। নত হয়ে হাঁটলে তলপেট ভারি দেখায়।
০ নিজের মাংসপেশিকে শক্ত করুন
০ বাদ দিন মিষ্টি ও জাঙ্ক ফুড
০ প্রতিদিন ১০/২০ বার উঠ-বস করুন।
০ মদ কমিয়ে দিন।
০ লবণ কমিয়ে দিন।
যৌনতা স্বাস্থ্যকর
০ যৌনতা আপনার মুডকে উজ্জীবিত করে, ব্যথা কমিয়ে দেয়। আরও অনেক অনেক উপকার করে। নিত্যদিনের গবেষণায় বেরিয়ে আসছে অনেক তথ্য।
যৌনতা এক মহোষৌধ
০ ডোপামিন নিঃরসরণ বেড়ে যায়। এন্ডোরফিন নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে কমে যায় ব্যথা অনুভব। ব্রেনের পুরস্কার সেন্টার উজ্জীবিত হয়।
যৌনতা হতাশার ওষুধ
০ ৩০০ জন মহিলার ওপর গবেষণা চালায় আলবানী বিশ্ববিদ্যালয়। দেখা যায় যেসব মহিলারা কনডম ছাড়া সেক্স করছেন তাদের হতাশা কেটে যাচ্ছে বেশি বেশি বরং তাদের চেয়ে যারা কনডম দিয়ে সেক্স করছে, পুরুষের শুক্রাণুর ভেতর ইস্ট্রোজেন ও প্রোস্টাগ্লান্ডিন থাকে যা সেক্স করার পর শরীরে আত্তীকরণ হয়। এগুলো এন্টি হতাশার ওষুধের মতন কাজ করে।
সেক্স আপনার ব্যথা কমিয়ে দেয়
০ ২০১৩ সালে জার্মানিতে এক গবেষণায় দেখা যায় যেসব রোগীরা মিগ্রেন মাথা যন্ত্রণায় ভুগছেন তাদের মধ্যে ৬০%ই প্রায় সব বা আংশিক মুক্তি পায় সেক্স করার পর
০ যৌনতা আপনার স্মৃতি শক্তিকে সজীব রাখে। মস্তিষ্কের আবর্জনা দূর করে। সেক্স আপনার স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে এক পরীক্ষাতে দেখা যায় যারা প্রতিদিন ১ বার পর পর ১৪ দিন সেক্স করছে তাদের ব্রেনের হিপোক্যাম্পাস নামক স্মৃতি শক্তির স্থানে নতুন নিউরন জন্মেছে।
০ সেক্স আপনাকে শান্ত রাখে : পরীক্ষাতে দেখা যায়, যেসব পুরুষেরা প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার সেক্স করে তারা বক্তৃতায় ভালো হয়। সেক্স আপনার ব্লাড প্রেসারকে কমিয়ে দেয়।
০ সেক্স আপনার ঘুমকে বাড়িয়ে দেয়। ব্রেনের প্রিকস্টাল কট্রেকস স্থিমিত হয় এবং এর সঙ্গে সঙ্গে অক্সিটোসিন ও সেরোটনিন নিঃসৃত হয়।