জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের পাশাপাশি কানাডা ও জাপানেও করোনার বেশি সংক্রামক ধরনটিতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যে প্রথম এ নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছিল। সেখান থেকেই পরে এটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া স্পেন, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও ফ্রান্সে যুক্তরাজ্য থেকে যাওয়া ব্যক্তি ও তাদের সংস্পর্শে আসা কয়েকজনের দেহে ধরনটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও রবিবার পর্যন্ত বিশ্বে ৮ কোটি ৯লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯২ জন। সুস্থ হয়েছে ৫ কোটি ৭১ লাখ ২৬ হাজার ২৪৯ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছে দুই কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার ৫৯৭ জন। যাদের মধ্যে এক লাখ ৫ হাজার ৪২৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ লাখ ৫১ হাজার ৬২৪ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে। একদিনে মারা গেছে ৭ হাজার ১৪৪ জন। খবর বিবিসি, সিএনএন, ালজাজিরা, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের কানাডার অন্টারিওতে এক যুগলের দেহে ভাইরাসের নতুন ধরন পাওয়া গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে তারা কোথাও বেড়াতে যাননি বলে জানা গেছে। এমনকি তারা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ কারও সংস্পর্শেও আসেননি বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাপান সোমবার থেকে এক মাসের জন্য অনাবাসী বিদেশী নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্য থেকে যাওয়া ৫ যাত্রীর দেহে বেশি সংক্রামক ধরনটি পাওয়ার পর দেশটিতে আরও দু’জনের দেহে ভাইরাসের এ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; যাদের মধ্যে একজনের দেহে স্থানীয়ভাবেই সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। করোনার নতুন ধরনের কারণে গত সপ্তাহ থেকেই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে নানান বিধিনিষেধ আরোপ করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ এর নতুন এ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হওয়ার পেছনে দেশটির কড়া নজরদারি ব্যবস্থাও কারণ হতে পারে। আগের ধরনগুলোর তুলনায় করোনার নতুন এ ধরনটিকে বেশি সংক্রামক বলা হলেও আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি অন্যগুলোর তুলনায় বেশি বিপজ্জনক বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না। কানাডার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের দেশে যে দু’জনের দেহে ভাইরাসের নতুন ধরনটি মিলেছে তারা টরোন্টোর কাছের ডারহামের বাসিন্দা। দু’জনই এখন সেলফ আইসোলেশনে রয়েছে। জাপানে যে নতুন ২ জনের দেহে ভাইরাসের বেশি সংক্রামক ধরনটি পাওয়া গেছে তাদের একজন বিমানচালক, বয়স ৩০-এর ঘরে; তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে জাপান ফেরেন। তার পরিবারের সদস্য বয়স ২০-এর ঘরে থাকা এক নারীর দেহেও নতুন এ বেশি সংক্রামক ধরনের উপস্থিতি মিলেছে। আক্রান্ত এ নারী সাম্প্রতিক সময়ে কোথাও ভ্রমণ করেননি বলে জানিয়েছে কিয়োডো নিউজ। সোমবার থেকে জাপানে যে বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে তাতে জাপানী নাগরিক এবং জাপানী নন কিন্তু দেশটিতে বসবাস করেন এমন ব্যক্তিরা জাপানে ফিরতে পারলেও সামান্য সংখ্যক এশিয়ান পর্যটক ও ব্যবসায়ী ছাড়া অন্যদের ঢুকতে দেয়া হবে না। মাদ্রিদে যে চারজনের দেহে করোনার নতুন ধরন মিলেছে তাদের সবাই যুক্তরাজ্য ফেরত এবং কারও অসুস্থতাই গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে স্পেন। বেশি সংক্রামক এ ধরনটি সুইজারল্যান্ডে যে তিনজনের দেহে পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে দু’জন ব্রিটিশ নাগরিক, যারা বর্তমানে সুইজারল্যান্ডেই থাকেন। ইউরোপের মধ্যে কেবল সুইজারল্যান্ডই বড়দিন ও নতুন বছর শুরুর সময় তাদের স্কি স্লোপগুলো পর্যটকদের জন্য খোলা রেখেছে। গত কয়েক সপ্তাহে হাজার হাজার ব্রিটিশ পর্যটক দেশটি ভ্রমণও করেছে। সুইডেনের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা যে ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের নতুন ধরনটি পেয়েছে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে আসার পর থেকেই সেলফ আইসোলেশনে আছেন। ফ্রান্সের যে নাগরিকের দেহে নতুন ধরনটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে তিনি ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন। যুক্তরাজ্যে বসবাস করা ওই ব্যক্তির দেহে কোন উপসর্গ দেখা না গেলেও তিনি নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন, জানিয়েছে ফরাসী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে রবিবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বত্র সমন্বিত টিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জোটের বেশ কয়েকটি দেশ আগেভাগেই নাগরিকদের টিকা দেয়া শুরু করেছে। উত্তর-পূর্ব জার্মানির স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, তারা ফাইজার-বায়োএনটেকের অনুমোদিত টিকাটির প্রয়োগে আর একদিনও অপেক্ষা করতে প্রস্তুত নন। হ্যালবারস্টেটের একটি নার্সিং হোমে বেশি বয়সী নাগরিকদের ওপর টিকাটির প্রয়োগও শুরু করেছেন তারা। হাঙ্গেরিতে ডেল-পেস্ট সেন্ট্রাল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক প্রথম টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। স্লোভাকিয়াতেও প্রতিষেধকটির প্রয়োগ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ইইউতে টিকাদান কর্মসূচী শুরু ॥ ইউরোপীয় ইউনিয়নে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে গণহারে করোনার টিকাদান কর্মসূচী। এ কর্মসূচীকে করোনার বিরুদ্ধে অঞ্চলটির একটি সমন্বিত লড়াই হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে ইউরোপীয় ঐক্যের জন্য একটি ‘মর্মস্পর্শী মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অঞ্চলটির নেতারা। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের জানিয়েছেন, এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়া হয়েছে। রবিবার থেকে টিকাদান কর্মসূচী শুরুর কথা থাকলেও হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার মতো কয়েকটি দেশ শনিবারই এ কর্মসূচী শুরু করেছে। দেশগুলো বলছে- তারা আর একটি দিনও অপেক্ষা করতে প্রস্তুত নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত করোনায় তিন লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা এরইমধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আঞ্চলিক জোটটির প্রায় সবদেশেই বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।
প্রতি হাজারে একজনের মৃত্যু ॥ বিশ্বে করোনা প্রাদুর্ভাবের এক বছর হয়ে গেল। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে কাছেও নেই কোন দেশ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১১ মাসের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে প্রতি হাজারে একজন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৬১ জন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৭। এরমধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯২১ জন। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৫০১। করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারত এবং ব্রাজিলের চেয়েও যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। গত ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। অপরদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনা সংক্রমণে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
চীনে নতুন শনাক্ত ২২ ॥ চীনে নতুন ২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ১২ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্ত অন্য ১০ জন সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এক বুলেটিনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে সংক্রমিতদের মধ্যে ৫ জন বেজিংয়ের নিকটবর্তী সুয়েনি এলাকার। একদিন আগেই টিকা প্রয়োগ ॥ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে পূর্ব ইউরোপের দুই দেশ হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া। স্লোভাকিয়ায় প্রথম টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নিট্রার ফ্যাকাল্টি হাসপাতালে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়। অন্যদিকে হাঙ্গেরিতে প্রথম টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় রাজধানী বুদাপেস্টের উপকণ্ঠে অবস্থিত সাউথ পেস্ট হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে এ কর্মসূচী মূলত স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। হাঙ্গেরির মানবসম্পদমন্ত্রী মিকলোস কাসলার এক প্রেস বিবৃতিতে দেশটির টিকাদান কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২১ ডিসেম্বর ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এ্যাজেন্সি ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
মডার্নার ভ্যাকসিনেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ॥ যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরের এক চিকিৎসক গত বৃহস্পতিবার মডার্নার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেয়ার পর তার দেহে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ওই চিকিৎসকের শেলফিশ জাতীয় খাবারে (চিংড়ি, কাঁকড়া, ঝিনুক, শামুক, অক্টোপাস প্রভৃতি) এ্যালার্জি রয়েছে। ডাক্তার হোসেন সাদরজাদেহ বোস্টন মেডিক্যাল সেন্টারের জেরিয়াট্রিক অনকোলজির একজন ফেলো। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নেয়ার পরপরই তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পান। তার ঝিমুনি ভাব আসে এবং হৃদকম্পন বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে মডার্নার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হওয়ার পর এটিই প্রথম মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোন ঘটনা।
ব্রাজিলে লাগামছাড়া সংক্রমণ ॥ ব্রাজিলে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যেন লাগামছাড়া। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দেশটিতে বিগত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ২৪৬ জন। একই সময় মারা গেছেন ৩০৭ জন। পরিস্থিতি যা-ই হোক, কোন চিন্তা করছেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর।
গোপন গুদামে টিকা রাখছে জার্মানি ॥ করোনার টিকা বিতরণের আগে জার্মানি সেগুলোর চালান পুলিশি পাহারায় গোপন গুদামে রাখছে। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ান স্পান বলেছেন, এই টিকা করোনা মহামারীকে পরাস্ত করার মূল চাবিকাঠি। এ বিষয়ে জার্মানির ‘ডের স্পাইগেল’ পত্রিকা জানিয়েছে, জার্মানিতে উদ্ভাবিত ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকার প্রথম চালানটি ব্যাভারিয়া এবং থুরিংগেন রাজ্যে পৌঁছেছে। জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশি পাহারায় ভ্যাকসিনের চালানগুলো বিশেষ গোপন গুদামে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে। ভ্যাকসিনের প্রথম চালানটি ব্যাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াখিম হারম্যান এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেলানিয়া হুমেল গ্রহণ করেন। প্রথম চালানে ৯ হাজার ৭৫০ ডোজ টিকা আপাতত এরলেংগেন ও পরবর্তী চালানটি মিউনিখ শহরে রাখা হবে। পরে তা ৯৯টি টিকাদান কেন্দ্রে বিতরণ করা হবে। জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল নর্থরাইন ভেস্টফালেন রাজ্যে সমপরিমাণ ডোজ টিকার প্রথম চালান পৌঁছে গেছে। রাজ্যটির নেতা আরমিন লাসেট সেই চালান গ্রহণ করেন। জার্মানির অন্যান্য রাজ্যেও করোনার টিকা সরবরাহ শুরু হয়েছে। জার্মানির মোট ২৭টি গোপন গুদামে আপাতত কয়েক হাজার টিকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: