ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাইকোর্টের রায়

দুর্নীতির অভিযোগে যে কোন ব্যক্তিকে দুদক ডাকতে পারবে

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

দুর্নীতির অভিযোগে যে কোন ব্যক্তিকে দুদক ডাকতে পারবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতির অভিযোগে সরকারী কর্মকর্তাসহ যে কোন ব্যক্তিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে পারবে উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণসহ এ সংক্রান্ত মামলার রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোঃ মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। দুদকের আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান জনকণ্ঠকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার জাজমেন্টে হাইকোর্ট বলেছে, রুপার কোন মৌলিক অধিকার খর্ব হলেই দুদক ২২ ধারায় যে নোটিস দিয়েছে সেটা বৈধ। তাকে ২৭ জানুযারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে। আর পর্যবেক্ষণে বলেছে, দুনীতির কোন অভিযোগ থাকলে দুদক যে কোন ব্যক্তিকে সরকারী কর্মকর্তা হোক তাকে নোটিস দিতে পারবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দিতে পারবে। পূর্ণাঙ্গ জাজমেন্টটি ৬ পৃষ্ঠার। আমরা বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়ের কপি পেয়েছি। এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জিকে শামীমের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে জামিন করানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এর ফলে তাকে দুদকের তলবাদেশে হাজির হতেই হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। গত ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মোঃ মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়। আদালতে রুপার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, জেডআই খান পান্না ও এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট মোঃ খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। গত ২৯ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত নোটিসে এ তলবাদেশ দেয়া হয়। তলবাদেশের চিঠিতে বলা হয়েছে, ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য ৪ নবেম্বর সকাল ১০টায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি ও চাহিদা দেয়া নথিপত্রসসহ তাকে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। পরে ওই নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১ নবেম্বর রিট দায়ের করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা।
×