ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের হিমাগার নেই বরিশালে

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের হিমাগার নেই বরিশালে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বিদেশ থেকে দেশে করোনার ভ্যাকসিন আনা হবে এটা একপ্রকার নিশ্চিত। তাই প্রান্তিক পর্যায়ে সাধারণ জনগোষ্ঠীর দ্বারে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ অধিদফতরের মাঠপর্যায়ের দপ্তরগুলো। তবে বরিশাল বিভাগের একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানেও করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষনে মাইনাস ডিগ্রী সেলসিয়াসের হিমাগার না থাকায় ভ্যাকসিন সংরক্ষন নিয়ে শংঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণে মাইনাস ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার হিমাগারে প্রয়োজন হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ফাইজারের উৎপাদিত ভ্যাকসিন সংরক্ষনে মাইনাস ডিগ্রী সেলসিয়াসের হিমাগারের প্রয়োজন। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে। সেগুলো সংরক্ষনে কি তাপমাত্রার প্রয়োজন হবে সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নীতি-নির্ধারকরা হিসেব-নিকেশ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন কোন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ভ্যাকসিন আনা হলে দেশে সংরক্ষন করা সহজ হবে। বিভাগীয় পরিচালক বলেন, ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছানোর পর সেগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পৌঁছাতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় জেলা প্রশাসককে প্রধান ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রধান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ১৪ সদস্যর ‘ভ্যাকসিন মানেজমেন্ট কমিটি’ গঠণ করা হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর কাজ করছেন। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে। জেলার অপর পাঁচটি সিভিল সার্জন কার্যালয়েও একই সক্ষমতা রয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, দেশে কোন তাপমাত্রা সক্ষমের ভ্যাকসিন আনা হবে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। যে ভ্যাকসিনিই আনা হোক না কেন, সেগুলো সংরক্ষনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে তারা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। কারা ভ্যাকসিন পেতে পারেন তার একটি তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। সূত্রমতে, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজ করবেন। যেকোন ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে চামরার নিচে, চামরায় এবং মাংসের ভেতর। করোনার ক্ষেত্রে এর বাইরে নিয়ম থাকলে মাঠ কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×