ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও অনেক বধ্যভূমির স্মারক স্মৃতিসৌধ নেই

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও অনেক বধ্যভূমির স্মারক স্মৃতিসৌধ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২০ ডিসেম্বর ॥ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও গাইবান্ধার বধ্যভূমিতে স্মারক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে অযত্নে অবহেলায় একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞের নীরব সাক্ষী হয়ে বিরাজ করছে ওই বধ্যভূমিগুলো। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী তৎকালীন গাইবান্ধা মহকুমার বিভিন্ন স্থানে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। এছাড়া, বোনারপাড়া লোকোশেডে কয়লার ইঞ্জিনের চুল্লিতে জীবন্ত মানুষ ঢুকিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মারারও বহু ঘটনা ঘটেছে। গাইবান্ধা জেলায় ৩০টিরও বেশি বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখানে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ নারী-পুরুষকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। এসব বধ্যভূমির মধ্যে গাইবান্ধা স্টেডিয়াম (তৎকালীন হেলাল পার্ক) সংলগ্ন নির্মাণাধীন গুদাম, পলাশবাড়ীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউজের পেছনে ও কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এবং ফুলছড়ির সাবেক উপজেলা সদরের বধ্যভূমি উল্লেখযোগ্য। এসব বধ্যভূমিতে শত শত মানুষকে হত্যা করে পুঁতে রাখা হয়। এদিকে পাকিস্তানী বাহিনী তৎকালীন হেলাল পার্ক প্যাভিলিয়নে ক্যাম্প স্থাপন করে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন গুদাম ঘরকে নির্যাতন সেল হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। প্রতি রাতেই বিভিন্ন স্থান থেকে নিরীহ লোকজন ধরে এনে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখত। বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েদের ধরে এনে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো। অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে অমানসিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। কিন্তু ওই নির্মাণাধীন গুদাম চত্বর, স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এবং হেলাল পার্ক সংলগ্ন লাইনের ধারে শত শত নারী-পুরুষকে গুলি অথবা বেয়োনেট চার্জ করে হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখা হয়।
×