ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংযোগ সড়ক নির্মাণে জটিলতা

কাজে আসছে না ১০ কোটি টাকার সেতু

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

কাজে আসছে না ১০ কোটি টাকার সেতু

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ২০ ডিসেম্বর ॥ সংযোগ সড়ক নির্মাণ জটিলতায় চালু হচ্ছে না লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া, শালনগর, নোয়াগ্রাম ও কাশিপুর-এ চার ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীর স্বপ্নের গোণ্ডব সেতু। নির্ধারিত সময়ের তিন বছর পর সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও উভয়পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে রয়েছে সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ। ফলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের এই সেতুটি চালু করা যাচ্ছে না। এ কারণে অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। সংযোগ সড়কের অভাবে এ সেতুর উভয় পাশে বসবাসকারী জনগণের বর্ষার সময় পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে, আর অন্য সময়ে এ সেতু আসছে না কোন কাজে। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) নড়াইলের আওতায় লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গোণ্ডব গ্রামে তুষখালী দোয়ার ওপর ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১০ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থ পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল দেড় বছর পর ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণে সৃষ্টি হয় জটিলতা। সংযোগ সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় উভয় পাশে ব্যক্তি মালিকানা জমির প্রয়োজন হয়। কিন্তু ক্ষতিপূরণ না দেয়ায় জমির মালিকরা আদালতের শরণাপন্ন হওয়ায় আটকে যায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। আর এভাবেই পড়ে রয়েছে ১২ মাস। সেতুটি চালু না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভ্যান, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকদের। যাত্রী ও মালামাল নিয়ে বিকল্প পথে দীর্ঘ পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় জমির মালকদের দাবি ন্যায্যমূল্য দিয়ে তাদের জমি অধিগ্রহণ করা হোক। এ বিষয়ে নড়াইল এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, গোণ্ডব সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের কোন ফান্ড এলজিইডির নেই। সেতুটি নির্মাণের আগে এলাকাবাসী সড়কের জন্য জমি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন সড়ক করতে গেলে জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন এবং তাদের দাবি পূরণ না হলে জমি দেবে না বলে আদালতে মামলা করেছেন। এ কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি চালু করা সম্ভব হয়নি।
×