নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। রবিবার সকালে মন্ত্রি পরিষদের এক জরুরী বৈঠকে নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনি। বৈঠকে তিনি জানান, তার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। অতএব সরকার ভেঙে দেয়া হোক। এ বিষয়ে নেপালের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী বারসামান পান জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকার ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির কাছে প্রস্তাবও পাঠনো হয়েছে। তবে, রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দেয়ায় মতো দেবেন কিনা এ নিয়ে নেপালসহ ভারতীয় গণমাধ্যমে গুঞ্জন চলছে। দেশটির সাধারণ মানুষও এখনও স্পষ্ট নন কি ঘটছে সরকারের ভেতর। নেপালের পরবর্তী নির্বাচন ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। হঠাৎ নির্বাচিত সরকার ভেঙে দিতে কেন তোড়জোড় শুরু করলেন, প্রধানমন্ত্রী অলি তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি জারি করা এক আইন নিয়ে চাপে ছিলেন তিনি। নেপালের প্রভাবশালী দৈনিক কাঠমাণ্ডু পোস্ট বলছে, ‘কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল। ব্যাপক চাপে থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।’ এভাবে সরকার ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ নেপালের জ্যেষ্ঠ কমিউনিস্ট নেতা মাধব কুমার নেপাল। - পিটিআই