ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ম ব্যবসায়ীরা ভাস্কর্য নিয়ে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে ॥ হানিফ

প্রকাশিত: ২২:২৫, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

ধর্ম ব্যবসায়ীরা ভাস্কর্য নিয়ে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে ॥ হানিফ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ীরা মানুষের কাছে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তারা বলছেন, আলেমদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে। কিন্তু ধর্মের অপব্যাখ্যা যারা করেন, তাদের সম্মান দিয়ে কথা বলবে কে? ভাস্কর্য নিয়ে যারা উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী। জনগণ এদের প্রতিহত করবে। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের সাবেক ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য করলে দেখবেন শিক্ষা থাকলে মানুষ কি করতে পারে। আর শিক্ষার অভাবে কী হয়। খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমান হাওয়া ভবন তৈরি করেছিলেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান নিজ যোগ্যতায় উদ্ভাসিত। হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দেশের যে অবস্থা করা হয়েছিল তার মাশুল দেশবাসী এখনও দিচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। সাবমেরিন ক্যাবল সুবিধা একসময় আমাদের ফ্রিতে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশের নিরাপত্তার অজুহাতে তা গ্রহণ করেননি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৭০ কোটি টাকা দিয়ে তা কিনে নেয়। দুই নেত্রীর শিক্ষা থাকা না থাকার কারণেই উপলব্ধির এই পার্থক্য বলে মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম হানিফ। বক্তব্যে তিনি শিক্ষার পাশাপাশি নিজেদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিশু কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তৌফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুবনা হারুন, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঈনুদ্দীন হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
×