ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ২২:২৩, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাকালীন বিশ্বের যেসব খাত সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা। তবে এই মুহূর্তে টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এই দুই অনুষঙ্গকে যত বেশি কাজে লাগানো যাবে ততই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হবে। আর এ বিষয়ে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শনিবার বেসরকারী গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘সাসটেন্যাবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৪.০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এ ভার্চুয়াল সম্মেলনে সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিশ্বের ২৯টি দেশ থেকে শতাধিক শিক্ষক-গবেষক অংশ নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, গ্রীন ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ ফায়জুর রহমান, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটার লু’র আইইইই ফেলো ক্লাউডিও এ কেনিজারেজ, অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের আইইইই ফেলো রাজকুমার ভূঁইয়া, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আইইইই ফেলো ভিনসেন্ট ওয়াং, অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক হুসেইন আব্বাস, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের সুস্মিতা মিত্রা। মূল প্রবন্ধ উপস্থ্পান করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মনজুর আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ও দেশের অন্যতম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এ দুই অনুষঙ্গকে যত বেশি কাজে লাগানো যাবে ততই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হবে। এ বিষয়ে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারীভাবেও অনেককে এগিয়ে আসতে হবে। গ্রীন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম সামদানী ফকির বলেন, করোনাকালীন বিশ্বের যেসব খাত সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তার অন্যতম হলো শিক্ষা। যদিও লকডাউনের শুরু থেকেই অনলাইন শিক্ষার সব সেবা নিশ্চিত করে গ্রীন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এসটিআই-২০২০ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো গবেষক ও অভিজ্ঞতাবাদীদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করা, যা কাজে লাগিয়ে টেকসই প্রযুক্তি ৪.০ উন্নয়নে আরও এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে জোর দিয়েছি, তাই এটাকে সামনে রেখে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ালেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সহজ হবে। সম্মেলনে গবেষণাপত্র উপস্থাপন ছাড়াও নতুন আইডিয়া তৈরি এবং সাসটেন্যাবল টেকনোলজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত নানাদিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা মূলত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। এদিকে সম্মেলনের প্রথমদিন রাজধানীর ট্রাফিক দূরীকরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এআই-জেসড প্রজেক্টের গ্র্যান্ড ফিনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলসেভিয়ার অর্থায়িত প্রজেক্টটি সম্মেলনে সাসটেন্যাবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি অনুষ্ঠানের সহযোগী ইভেন্ট হিসেবে কাজ করছে। এর বাইরেও সম্মেলনের অংশ হিসেবে ‘এডুকেশন ৪.০- প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনীর সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া’ শীর্ষক একটি টিউটোরিয়াল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর টিচিং এ্যান্ড লার্নিয়ের উদ্যোগে ‘এডুনিয়াস ৪.০-ফাইন্ডিং দ্য বেটার সল্যুশন ফর এডুকেশন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা স্থান পেয়েছে। স্টেট ইউনিভার্সিটি অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) আয়োজিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাত হাজার শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসইউবির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসইউবির উপরেজিস্ট্রার ফারহানা শারমিন। প্রথম স্থান অধিকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসবিন মাহবুবও অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
×