ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় অবৈধ ইটভাঁটির ছড়াছড়ি ॥ বিপন্ন পরিবেশ

প্রকাশিত: ২০:২৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

গাইবান্ধায় অবৈধ ইটভাঁটির ছড়াছড়ি ॥ বিপন্ন পরিবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৮ ডিসেম্বর ॥ জেলায় যততত্র গড়ে উঠছে লাইসেন্সবিহীন ইটভাঁটি। এতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি। অথচ দেখার কেউ নেই। গাইবান্ধার ৭টি উপজেলায় ইটের ভাঁটি রয়েছে প্রায় ১৮০টি। এরমধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের প্রদত্ত নিয়ম-কানুন মেনে লাইসেন্স গ্রহণকারী ইটভাঁটি মাত্র ৩৫টি। নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করেই চলছে বাকি ইটভাঁটিগুলো। জানা গেছে, পরিবেশ অধিদফতরের নিয়ম অনুযায়ী ভাঁটি দেয়া যাবে বসতবাড়ি থেকে ৩ কি.মি. দূরে। এছাড়া আবাদি জমিতে ইটের ভাঁটি দেয়া যাবে না, ইট পোড়াতে হবে কয়লা দিয়ে এবং নির্ধারিত উচ্চতায় স্থায়ী চিমনি বসাতে হবে। এছাড়া সরকারের রাজস্ব বাবদ আয়কর ও কাস্টমস ট্যাক্স প্রদান করারও বিধান রয়েছে। এসব নিয়ম-কানুন মেনে আবাদি জমি নয় এতদসংক্রান্ত কৃষি বিভাগের সনদ ও পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লাইসেন্স গ্রহণ করলেই শুধু বৈধভাবে ইটভাঁটি দেয়া যেতে পারে। কিন্তু অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অধিকাংশ ইটভাঁটিতে এসব নিয়ম মানা হচ্ছে না। বেশিরভাগ ইটভাঁটির সামনে কয়লা মজুদ করে রেখে প্রকৃতপক্ষে জ্বালানি কাঠ পোড়া হচ্ছে। এতে উজাড় হচ্ছে গাছপালা। কৃষি জমিতে ইটের ভাঁটি করার ফলে এবং ইট তৈরির জন্য জমির টপ সোয়েল কেটে নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ওই জমিগুলো চিরস্থায়ীভাবে অনাবাদিতে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া ইটভাঁটির তাপে এবং নির্গত ধোঁয়া ও ছাইয়ের আশপাশের এলাকার মানুষেরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি ও গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্ত অবৈধ ইটভাঁটি সরকারের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করছে না। ফলে আয়কর ও কাস্টমস ট্যাক্স বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
×