ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে সরকারী সম্পত্তি দখলের হিড়িক

প্রকাশিত: ২০:২৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

বরিশালে সরকারী সম্পত্তি দখলের হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ করোনা মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই সরকারী সম্পত্তি দখল। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারী সম্পত্তি দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অতিসম্প্রতি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বন্দরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত খালের পাশে সরকারী সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন বন্দরের প্রভাবশালী টিন ব্যবসায়ী দাদন মিয়া। দখলকৃত ওই সম্পত্তিতে একাধিক দোকানঘর নির্মাণ করা হলেও প্রভাবশালী দাদন মিয়ার ভয়ে বন্দরের কোন ব্যবসায়ী মুখ খুলতে সাহস পায়নি। ফলে নির্বিঘ্নেই দোকান নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দাদন মিয়া জনকণ্ঠকে জানান, অনেকেই সরকারী সম্পত্তি দখল করেছে। তাই আমিও দখল করেছি। বাটাজোর শাহী পার্কের সামনে সরকারী ডাঙ্গা ভরাট করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। ডাঙ্গাটি ভরাট করায় ওই এলাকার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে পার্কের দায়িত্বরত এক কর্মী জানান, বর্তমানে ভরাটের কাজ বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে বার্থী তারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে সরকারী জমি দখল করে দোকান নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। গৌরনদী-পয়সারহাট সড়কের মোল্লাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় সড়কের পাশে স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। স্থাপনা নির্মাণকারী আলী আকবর জানান, তার নিজস্ব সম্পত্তিতে তিনি স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এছাড়াও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের আশোকাঠী ফিলিং স্টেশনের সামনে গত কয়েক মাস পূর্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও রহস্যজনক কারণে সেখানে ফের অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার বামরাইল বন্দরে খালের একাংশ দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান। ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান জানান, তার ডিসিআরকৃত সম্পত্তিতে তিনি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। সচেতন নাগরিকদের মতে, এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ব-স্ব এলাকার ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিংবা তাদের ছত্রছায়া থাকে। এছাড়া হাট-বাজারে যাদের দোকান কিংবা ব্যবসা আছে অনেক ক্ষেত্রে তারাই সরকারী সম্পত্তি দখল করে আরও দোকান নির্মাণ করে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন। দখলকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সচেতন নাগরিকেরা জোর দাবি করেছেন।
×